সত্যিই শ্বাসরূদ্ধকর একটি ম্যাচ। শেষ ওভারে রান প্রয়োজন মাত্র ৮। উইকেটে দুই ইনফর্ম ব্যাটসম্যান জো রুট আর জস বাটলার। অনায়াসেই জয় পেতে যাচ্ছিল ইংল্যান্ড; কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৫ রানে জয় পেয়ে গেলো ভারতই। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেলেন কোহলি। শেষ ওভারের শ্বাসরূদ্ধকর পরিস্থিতিতে জসপ্রিত বুমরাহছাড়া আর কেউ বাকি নেই যে অন্য কারও হাতে বল তুলে দেবেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বুমরাহর ওপরই আস্থা রাখতে হলো।কিন্তু কে জানতো, শেষ ওভারে এমন চমক নিয়ে হাজির হবেন বুমরাহ। তার প্রথম বলেই ছক্কা মারতে গিয়েছিলেন জো রুট; কিন্তু বলের লাইন বুঝতে পারেননি। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানলো প্যডে। জোরালো আবেদন। আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে দিলেন।পরের বলেই মঈন আলি নিলেন ১ রান। তৃতীয় বলে কোনো রান দিলেন না বুমরাহ। জস বাটলার ব্যর্থ হলেন বুমরাহর স্লো অফ-কার্টারে। চতুর্থ বলেই বোল্ড বাটলার। ১০ বলে ১৫ রান করা বাটলারের বিদায়। ভারতের জয় যেন তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়। পঞ্চম বলে বাই থেকে ১ রান নেন ক্রিস জর্ডান। শেষ বলে উইকেটে মঈন আলি। জিততে হলে ছক্কাই মারতে হবে। অন্যথা কোনো লাভ নেই। জসপ্রিত বুমরাহ কৌশলে বলকে সুইং করালেন। মঈন আলি হাঁকাতে গিয়ে ব্যাটে বলেই সংযোগ ঘটাতে পারেননি। সঙ্গে সঙ্গেই ৫ রানে জয়ের আনন্দে কেঁপে ওঠে নাগপুরের পুরো বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠ।১৪৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে জো রুট আর বেন স্টোকসের কল্যাণে জয়ের দিকে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু শেষ ওভারের ওই নাটকীয়তায় জয় পেলো ভারতই। ভারতের ১৪৪ রানের জবাবে ইংল্যান্ড থেমে যায় ৬ উইকেটে ১৩৯ রানে।জ্যাসন রয় আর স্যাম বিলিংস ২২ রানের জুটি গড়ে সূচনাটা ভালো এনে দেন। জো রুট আর ইয়ন মরগ্যান মিলে ইংল্যান্ডের জয়টাকে সহজ করে তুলছিলেন। জো রুট করেন ৩৮ রান। ইয়ন মরগ্যান আউট হন ১৭ রান করে। বেন স্টোকস ২৭ বলে করেন ৩৮ রান। বাটলার ১০ রান। আশিস নেহরা আগেই ৩ উইকেট নেন। শেষ ওভারের ম্যাজিকে ২ উইকেট নেন বুমরাহ। বাকিটি নেন অমিত মিশ্র। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুলের ৭১ এবং মানিশ পান্ডের ৩০ রানের ওপর ভর করে ভারত ৮ উইকেট হারিয়ে করেছিল ১৪৪ রান। আইএইচএস
Advertisement