অর্থনীতি

বেনামে শেয়ার থাকলেই ব্যবস্থা : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেছেন, বেনামে কোন ব্যাংকের শেয়ার ধারণ করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। চলতি অর্থবছরের (২০১৬-১৭) দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গভর্নর ফজলে কবিরকে প্রশ্ন করা হয় এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকে অন্য একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বেনামে শেয়ার ধারণ করেছেন, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কি ব্যবস্থা নিচ্ছে।গভর্নর এ প্রশ্নের উত্তর দিতে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীকে বলেন। জবাবে সুর বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন লঙ্ঘন করে এখন পর্যন্ত কেউ অতিরিক্ত শেয়ার ধারণ করতে পারেনি। যদি কেউ মালিকানা পেয়ে থাকে তাহলে সে অন্য নামে বা অন্য কোম্পানির মাধ্যমে রিপ্রেজেন্ট (প্রতিনিধিত্ব) করছে। যেটি আইনে ধরা সম্ভব নয়।ব্যাংক কোম্পানি আইনে উল্লেখ আছে যদি কেউ বেনামে শেয়ার ধারণ করে তাবে সেই শেয়ার সরাসরি বাতিল হবে রাষ্ট্রের অনুকূলে। আপনারা সে বিষয়ে কি উদ্যোগ নিয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে সুর চৌধুরী বলেন, শুধু এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক না এ ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি যে ব্যাংকেই থাকুক তা নজরে আসলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ওপর একটি বিশেষ পরিদর্শন চলছে। পরিদর্শনে যদি বেনামি কোনো শেয়ার কারও কাছে থাকার প্রমাণ মেলে তাহলে ব্যাংক কোম্পানির আওতায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঋণ জালিয়াতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে সুর চৌধুরী বলেন, এখন প্রত্যেকটি বোর্ডে এক্সিকিউটিভ, অডিট এবং রিস্ক এ তিনটি কমিটি থাকে। প্রত্যেক কমিটির প্রতিটি মিটিংয়ের রেজুলেশন বংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়। সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইড সুপারভিশন থেকে যাচাই-বাছাই করা হয়। আইন লঙ্ঘন সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তাদেরকে মনিটরিং করা এবং প্রয়োজনে জরিমান করা হয়।আর মানসম্মত ঋণ যাতে বাড়ে সে বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংক অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মানসম্মত ঋণের খুব বেশি অগ্রগতি না হলেও আগে ৩১ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ আদায় হতো না। এখন এটা প্রায় ১০ শতাংশ। তবে মনিটরিং অব্যহত রয়েছে। ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বহু এমডিকে চাকুরিচ্যুতি এবং জেল জরিমানাও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।   ডেপুটি গভর্নর আরও বলেন, কোন ব্যাংকের আর্থিক সূচক খারাপ হলে প্রথমে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করি। দরকার হলে এডব্লিউএসি (ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল) এবং প্রবলেম ব্যাংকে নেয়। এমনকি প্রয়োজন হলে ক্রেডিও বন্ধসহ যখন যে ধরণের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা নেয়া হয়।ব্যাংকের মালিকানা যার কাছেই থাকুক না কেন এ বিষয়ে কোন ছাড় দেয় না।এমএএস/এএইচ/জেআইএম

Advertisement