জমে উঠেছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘আচার উৎসব’। প্রথমবারের মতো দিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ। প্রায় অর্ধশতাধিক স্টল স্থান পেয়েছে আচার উৎসবে। এ উৎসবে রন্ধনশিল্পী এবং আচারশিল্পীদের অংশগ্রহণে আচার তৈরি, আচার দিয়ে তৈরি করা খাবার এবং আচারের সঙ্গে খাওয়ার জন্য নানা রকম খাবারের সমাহার রয়েছে। এছাড়াও প্রাণ-আরএফএলের বিভিন্ন পণ্যও উৎসবে স্থান পেয়েছে। উৎসবে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রজনী কান্তি দাস জাগো নিউজকে বলেন, আসলে দেশের রাঁধুনিদের জন্য আচার একটি অন্যতম জিনিস। জানা থাকলে খুব অল্প সময়ে আচার দিয়ে নানা রকমের মজাদার খাবার তৈরি করা যায়। নিজের অভিজ্ঞতাকে আরো প্রসিদ্ধ করতে এই উৎসবে এসেছি। বনশ্রীর বাসিন্দা নাহিদা ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আচার আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। প্রাণের সহযোগিতায় এখানে আচার উৎসব হচ্ছে শুনে সকালেই অনুষ্ঠানে এসেছি। নিজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি রন্ধন ও আচারশিল্পীদের থেকে আরো কিছু জানতে পারলাম।তিনি জানান, উৎসবে এসে বেশ কয়েকটি আইটেমের আচার তৈরি শিখেছেন। এর মধ্যে- জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচার, পেঁয়াজ-মরিচের আচার, আমের টক-ঝাল আচার, টক-মিষ্টি আমের আচার, গরুর মাংসের আচার, করমচার আচার, তেঁতুলের টক মিষ্টি আচার, কাঁচা মরিচের আচার তৈরির নতুন অভিজ্ঞতা পেয়েছেন।এছাড়া আজই প্রাণ জাতীয় আচার প্রতিযোগিতার ১৭তম আসরের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে। প্রতিবারের মতো এবারো টক, ঝাল, মিষ্টি এবং অন্যান্য এই চারটি বিভাগ থেকে মোট ১২ জনকে পুরস্কৃত করা হবে। এর পাশাপাশি সব বিভাগ মিলিয়ে নির্বাচন করা হবে বর্ষসেরা আচার। সব বিজয়ীর জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।মেলায় প্রাণের বিভিন্ন পণ্যে ছাড়ও দেয়া হচ্ছে। ২৫ টাকার প্রাণ মিষ্টি দই বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, একই দামের টক দইও বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। এছাড়া ৩০ টাকার প্রাণ লাবান বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, একটি জিরা পানি কিনলে একটি ফ্রি দেয়া হচ্ছে। এমএসএস/এনএফ/এমএস
Advertisement