দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিবাদীরা ফুলে-ফেঁপে বড় হয়েছে। তাই এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে হলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। বুধবার বিকেলে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি, মৌলবাদের উত্থান ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজিসি অধ্যাপক ড. অজয় রায়, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত, নিজেরা করি’র নির্বাহী মানবাধিকার নেত্রী খুশী কবীর, নিহত বøগার রাজীব হায়দারের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিন, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেক প্রমুখ। অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ মানে অপশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ। তাই তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিকে নেতৃত্ব দিতে হবে। জনগণ সকল শক্তির উৎস, জনগণকে সুগংঠিত করতে হবে।অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করতে ৫২ বছর লাগবে। এর মাঝে অনেক আসামী মারা যাবে। তাই তিন থেকে চার বছরের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এজন্য ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়াতে হবে।ইমরান এইচ সরকার বলেন, জঙ্গিবাদের পেছনে কারা আছে এবং কারা তাদের সহযোগিতা করছে, সেটা আমাদের অজানা নয়। তাদের চিহ্নিত ও তাদের আস্তানা জানা স্বত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে,তার ফলে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এএইচ/এমএস
Advertisement