এক ইনিংসেই এতগুলো কিংবদন্তীকে ছুঁয়ে ফেললেন ডেভিড ওয়ার্নার। রীতিমত অবিশ্বাস্য ব্যাপার। অ্যাডিলেড ওভালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৭৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেই সাবেক তিন তারকা শচীন টেন্ডুলকার, কুমার সাঙ্গাকারা এবং অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে ছুঁয়ে ফেললেন ডেভিড ওয়ার্নার। রেকর্ড গড়েছেন অনেকগুলো।তিন কিংবদন্তীকে কিভাবে ছুঁলেন ওয়ার্নার! পরিসংখ্যান ঘাটলেই সহজে বের হয়ে আসে সেগুলো। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি নাশ লিখিয়ে ফেলেন কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে। এক মৌসুমে সর্বাধিক ৬টি সেঞ্চুরি করার রেকর্ড কেবল সাঙ্গাকারার দখলেই ছিল। ২০১৪-১৫ মৌসুমেই ২৩ ইনিংস ব্যাট করে এই রেকর্ড গড়েছিলেন লংকান কিংবদন্তী। এবার ২০১৬-১৭ মৌসুমে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১১ ইনিংস খেলে ৬ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। আবার এই ১১টি ইনিংস তিনি খেলেছেন টানা, কোনো বিরতি না দিয়েই।অ্যাডিলেড ওভালে সেঞ্চুরি পূরণের সঙ্গে সঙ্গেই ওয়ার্নার নাম লেখান অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তী অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সঙ্গে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওপেনার হিসেবে সর্বোচ্চ ৯টি সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন গিলক্রিস্ট। এবার তাকে ছুঁয়ে ফেললেন ওয়ার্নার। গিলি যেখানে এই ৯টি সেঞ্চুরি করতে খেলেন ৯৮টি ইনিংস। ওয়ার্নার সেখানে খেলেছেন মাত্র ৪৯টি ইনিংস।সেঞ্চুরির পরও আরেকটা রেকর্ডে নিজের নাম শচীন টেন্ডুলকারের পাশে লিখে দিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে এ জন্য তাকে পার হতে হয়েছে ১৫০ রানের গণ্ডি। ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৫টি দেড়শ’ প্লাস স্কোরের মালিক ছিলেন কেবলই শচীন টেন্ডুলকার। আজ ১৭৯ রান করেই শচীনের পাশে ৫টি দেড়শ’ প্লাস রানের ইনিংস খেলে নিজের নাম লিখিয়ে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার এই বিধ্বংসী ওপেনার।আর ২০টা রানের জন্য বিরল একটি রেকর্ড গড়তে পারলেন না ওয়ার্নার আর ট্রাভিস হেড। অস্ট্রেলিয়ার করা ৩৬৯ রানের মধ্যে ৩০৭ রানই করেছেন এই দু’জন মিলে। যা ওয়ানডে ক্রিকেটে দু’জন মিলে করা মোট রানের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আর জেমস মার্শাল মিলে করেছিলেন ৩২৭ রান।অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত ইনিংস খেললেন ডেভিড ওয়ার্নার। এর আগে শেন ওয়াটসন সর্বোচ্চ ১৮৫ এবং ম্যাথ্যু হেইডেন করেছিলেন ১৮১ রান। আবার অ্যাডিলেড ওভালে ওয়ানডে ক্রিকেটে ওয়ার্নারের করা এই ইনিংসটাই সর্বোচ্চ। এর আগে অ্যাডিলেডে ২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৬ রান করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা।আইএইচএস/পিআর
Advertisement