হিড়িক পড়েছে যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের। তবে এত ছবি নির্মিত হলেও মানা হচ্ছে না নিয়মের বালাই! চলচ্চিত্রের উন্নয়নের দোহাই দিয়ে নামকাওয়াস্তে এসব যৌথ প্রযোজনায় ছবি বানানোর ঘোর বিরোধী ঢাকাই ছবির দাপুটে খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। এফডিসিতে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেলের সদস্যরা ‘নীতিগতভাবে আমরা এক, চলচ্চিত্র শিল্পীদের মিলনমেলা ও মতবিনিময়’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন মিশা। মিশা বলেন, ‘এখন যৌথ প্রযোজনার নামে যা হচ্ছে তা আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এটা চলচ্চিত্রের কফিনে পেরেক ঠুকে দেয়ার মতোই। যৌথ প্রযোজনার যে নিয়ম তা এখন কেউই মানছে না। আমি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হলে এ অনিয়ম বন্ধ করবো; প্রয়োজনে যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ বন্ধ করা হবে।’ আট শতাধিক ছবির এই অভিনেতা বলেন, ‘নিয়ম মেনে চলার কারণে যৌথ প্রযোজনার ছবি নিয়ে শুরুর দিকে ততটা উচ্চবাচ্য হয়নি। এমনিতেই যৌথ প্রযোজনার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত মেনে চলতে হয়। ১৯৮৬ সালের যৌথ প্রযোজনার নীতিমালায় সব দেশের শিল্পীদের সমান হারে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা বাধ্যতামূলক ছিল। এ নিয়ম পালন না করলে সেটাকে কোনোভাবেই যৌথ প্রযোজনার ছবি বলা যাবে না। বছর তিনেক আগে যৌথ প্রযোজনার ছবির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম করা হয়। এখনকার ছবিগুলোতে ঠিকমতো সেই নিয়মও মানা হচ্ছে না। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।’ এদিকে, শিল্পীদের এ মিলনমেলায় উপস্থিত ছিলেন এ টি এম শামসুজ্জামান, সোহেল রানা, অভিনেত্রী অঞ্জনা, রোজিনা, নূতন, পপি, নাদের চৌধুরী, চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ, রিয়াজ, সম্রাট, সাইমন সাদিক, রুবেল, চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা, রেসি, দিলারা, সোহানা, প্রবীর মিত্র, আমান রেজাসহ অনেকেই।এসময় প্রত্যেক শিল্পীই চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন এবং নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন। এনই/এলএ/পিআর
Advertisement