অলিম্পিকের ইতিহাসে তার মত বড় কিংবদন্তীর জন্ম এখনও হয়নি। ভবিষ্যতেও হবে কি না সন্দেহ। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে উত্থান। এরপর ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকের পর ২০১৬ রিও অলিম্পিকেও ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে একক আধিপত্য দেখিয়েছেন উসাইন বোল্ট। ১০০, ২০০ এবং ১০০ মিটার রিলে, এই তিন ইভেন্টে তিন অলিম্পিকে ৯টি স্বর্ণ জিতে ইতিমধ্যেই ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন বোল্ট।কিন্তু সতীর্থের অপরাধের দায় বহন করতে হচ্ছে এখন বোল্টকে। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে ১০০ মিটার রিলেতে যাদের নিয়ে দৌড়েছেন বোল্ট, তার মধ্যে ছিলেন নেস্তা কার্টার। যার বিরুদ্ধে ডোপ নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত। সুতরাং, ২০০৮ সালে দলীয়ভাবে জেতা ১০০ মিটার রিলেতে জেতা স্বর্ণ পদক জ্যামাইকার কাছ থেকে কেড়ে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিটক কমিটি (আইওসি)। সে হিসেবে, পদকটা কেড়ে নেয়া হচ্ছে উসাইন বোল্টের কাছ থেকেও।এতবড় অ্যাথলেট। সমসাময়িক অনেকেই ডোপপাপে জর্জরিত হয়েছেন; কিন্তু বোল্ট লড়ে গেছেন ডোপের বিরুদ্ধে। সবাইকে উৎসাহিত করেছেন ডোপের বিপক্ষে লড়াই করার জন্য, তখন নিজেই সতীর্থের ডোপপাপের কারণে অলিম্পিকে সোনার পদক হারালেন। তিন অলিম্পিকে ট্রিপলের ট্রিপল জেতার রেকর্ড গড়েছিলেন বোল্ট। এখন একটি কেড়ে নেয়া মানেই, তার স্বর্ণ একটি কমে দাঁড়ালো, ৮টিতে।২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকের সময়েই নেস্তা কার্টারের কাছ থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেটা পরীক্ষা করে অবশেষে জানা গেলো, তার রক্তে নিষিদ্ধ ঘোষিত ড্রাগের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। বেইজিংয়ে ১০০ মিটার রিলের ফাইনালের দিনই কার্টারের কাছ থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন কোনো নিষিদ্ধ দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তবে গত বছর আইওসি ৪৫৪টি নমুনা পূনঃপরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়, তাতেই কপাল পুড়েছে কার্টারের। কপাল পুড়েছে বোল্টেরও। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকেও জ্যামাইকার হয়ে রিলেতে অংশ নিয়ে সোনা জিতেছেন কার্টার। সোনা জিতেছেন ২০১১, ২০১৩ ও ২০১৫ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে। তবে সেসব ইভেন্টে কোনো ড্রাগের উপস্থিতির কথা শোনা যায়নি। বেইজিং অলিম্পিকে রিলেতে প্রথম লেগে দৌড়েছিলেন কার্টার। যে দৌড়ে বোল্টের পাশাপাশি ছিলেন মাইকেল ফ্রেটার ও আসাফা পাওয়েলও। ৩৭.১০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছিলেন তাঁরা, পেছনে ফেলেছিলেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং জাপানকে। এখন এই দুটি দল যথাক্রমে পাবে সোনা ও রুপা, ব্রোঞ্জ পাবে সেবার চতুর্থ হওয়া ব্রাজিল। আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement