জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ সাংবাদিকদের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘আমাদের মাঝে মাঝে আইটেম করা হয়। আমাদের দিয়ে রূপকথা সাজিয়ে গল্প লেখা হয়। মানুষ পড়ে আনন্দ উপভোগ করে, পত্রিকা চলে। কিন্তু আমাদের মান মর্যাদা কোথায় যায় সেটা আপনাকে বুঝিয়ে বলতে পারব না মাননীয় স্পিকার।’ বুধবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। এসময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। ফিরোজ বলেন, ‘পত্রিকা পড়লেই বোঝা যায় এমপিদের কোনো মান মর্যাদা নাই। আমাদের কোনো সমাজ নাই। আমাদের স্ত্রী পরিজন নাই। আমাদের ঘর নেই, সংসার নাই। আমাদের মাঝে মাঝে আইটেম করা হয়। আমাদের দিয়ে রূপকথা সাজিয়ে গল্প লেখা হয়। মানুষ পড়ে আনন্দ উপভোগ করে, পত্রিকা চলে, কিন্তু আমাদের মান মর্যাদা কোথায় যায় সেটা আপনাকে বুঝিয়ে বলতে পারব না।’ তিনি বলেন, পান থেকে চুন খসলেই এমপিদের নিয়ে লেখা হয়। কিন্তু আমরা প্রটেকশন পাই না এ সংসদে। এই দেশে শিক্ষকদের সংগঠন আছে, ছাত্রদের সংগঠন আছে, সরকারি চাকরিজীবীদের সংগঠন আছে। ফোরথ ক্লাস কর্মীদের কটূক্তি করলে ব্যবস্থা নেয়া হয়। আমাদের নিয়ে যখন কথা হয় কখন এই সংসদ প্রটেকশন দেয় না, যা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তিনি আরো বলেন, আজকে যখন আমাদের চরিত্র নিয়ে কথা বলা হয় তখন নিঃসন্দেহে মনে হয় আমার রাজনৈতিক জীবনের সব প্রাপ্তি ব্যর্থ। আমরা আজ দেখতে পাই হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা কিছু রাজনীতিবিদ চাটুকার রাতারাতি নেতা হয়ে সর্বনাশ করছেন। ক্ষমতায় আছেন তো বুঝবেন না। ক্ষমতা চলে গেছে বুঝবেন কত ধানে কত চাল হয়। আমরাও ক্ষমতায় ছিলাম। ক্ষমতায় থাকলে অনেক চাটুকার থাকে। তিনি বলেন, আমি পশুপাখি ভালোবাসি। আমার নয়টি কুকুর। একটি মিনি চিডিয়াখানা আছে। সেই সময় অনেকে আমার বাড়ি গিয়ে সেইসব কুকুরের বুদ্ধি নিয়ে প্রশংসা করেছেন। কিন্তু কারাগারে গেলে তারাই যে ভাষায় কথা বলেছে তা প্রকাশ করার নয়। এইচএস/এসএইচএস/জেআইএম
Advertisement