খেলাধুলা

উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের প্রথম ফুটবল ভাস্কর্য

এত বড় ফুটবল? কক্সবাজারের রামু শহরের জিরো পয়েন্টের দিকে আগালেই সবার চোখ আটকে যাবে বিশাল সাদা-কালো একটি ফুটবলের ওপর। কাছে গেলেই ভুল ভাঙবে- এটা আসলে একটি ফুটবল ভাস্কর্য। ২৫ ফুট উচ্চতার এ ফুটবল ভাস্কর্যটি নির্মাণ শেষের পথে। ভাস্কর্যটি নির্মাণের উদ্যোক্তা স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল আশা করছেন, মাসখানেকের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।ভাস্কর্যটি নির্মাণ করতে পারায় দারুণ খুশি সাইমুম সরওয়ার কমল, ‘ফুটবল পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। রামুরও রয়েছে ফুটবলের ঐতিহ্য। সেটাকে ধরে রাখার প্রয়াস হিসেবেই এ ভাস্কর্য নির্মাণ করেছি। এখানকার যে সব ফুটবলার জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন তাদের এবং ফুটবল সংগঠকদের নামও থাকবে এ ভাস্কর্যে।’সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ ভাস্কর্যটির ডিজাইন করেছেন ইয়াসির আরাফাত রুবেল নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। সংসদ সদস্য বলেছেন, ‘কেবল বাংলাদেশেই নয়, এ ধরণের ভাস্কর্য দক্ষিণ এশিয়াতেও নেই। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে রামু শহরের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। আশা করি, এ ভাস্কর্য পর্যটকদেরও দৃষ্টি কাড়বে। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা রামু ও কক্সবাজারের ফুটবল ঐতিহ্য সম্পর্কে নতুন ধারণা পাবেন।’কবে নাগাদ এ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করবেন? ‘এক বছর আগে এটি নির্মাণের কাজ শুরু করি। হয়তো আর মাসখানেক লাগতে পারে। আমাদের ইচ্ছে আছে বড় আয়োজনের মাধ্যমেই এটি দর্শণার্থীদের জন্য উম্মুক্ত করে দেবো। চেষ্টা করবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে টেলিকনফারেন্সে হলেও উদ্বোধন করাতে। না হলে অন্তত ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী থাকবেন’- বলেছেন  সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বাইপাস চত্বরে নির্মানাধীন দৃষ্টিনন্দন ফুটবল ভাস্কর্য নিয়ে স্থানীয়দের পাশপাশি পর্যটকদের কৌতূহলও বাড়ছে দিন দিন। রামুর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থাপনার সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে দৃষ্টিনন্দন এ ফুটবল ভাস্কর্যটি। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এ ভাস্কর্য নির্মাণে অর্থের যোগান দিয়েছেন।কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে এ ভাস্কর্য নির্মাণে? ‘আসলে কত টাকা খরচ হচ্ছে সেটা কোনো বিষয়ই না। আমার কাছে এ ভাস্কর্যের মূল্য কোটি কোটি ডলারের চেয়েও বেশি। দক্ষিণ এশিয়াতে যা নেই সেটা আমরা করতে পারছি’- বলেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।সাবেক ফুটবলার এবং বাফুফের সদস্য বিজন বড়ূয়া বলেছেন, ‘আমি প্রথমত ধন্যবাদ দিতে চাই সংসদ সদস্য সাইমুম সারওয়ার কমলকে তার এ উদ্যোগের জন্য। ফুটবলের এমন ভাস্কর্য নির্মাণ করায় রামুর পরিচিতি বাড়বে। রামুর ফুটবলের একটা ঐতিহ্য আছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে রামুর নাম ছড়িয়ে যাবে। সিদ্দিক আহমেদ, নিকাশ, পটল, স্বদেশ ও কোকাসহ অনেক নামকরা ফুটবলার ছিলেন এই রামুর। ফুটবল ভাস্কর্য নির্মাণের মাধ্যমে তাদেরও সম্মানিত করা হলো।’আরআই/আইএইচএস/জেআইএম

Advertisement