বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন করে দিয়েছিল। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের কারণে আয়ুব খান বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিতে ঝোলাতে পারেনি। ঊনসত্তরের ওই আন্দোলন না হলে আমি তোফায়েল আহমেদ আজ বাংলাদেশের মন্ত্রী হতে পারতাম না। ঊনসত্তরের কাছে আমি ঋণী।বুধবার রাজধানীর উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে শহীদ মতিউর রহমানের বাবাকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। মতিউর রহমান ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হন। তোফায়েল বলেন, ডাকসুর ভিপি হিসেবে আমার যে নাম, যশ, খ্যাতি তা ঊনসত্তরকে ঘিরেই। ওই প্রেক্ষাপট তৈরি করে দিয়েছিল শহীদ মতিউর। ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি মতিউর পকেটে চিরকুট লিখে রেখেছিল। তাতে লেখা ছিল, ‘মা আমি মিছিলে যাচ্ছি। যদি ফিরে না আসি তাহলে মনে করো এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য, নেতা শেখ মুজিবের জন্য জীবন দিয়ে গেলাম। ইতি মতিউর রহমান, নব কুমার ইনস্টিটিউট, দশম শ্রেণি’।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি একটি ঐতিহাসিক দিন, স্মরণীয় দিন। ওই দিনটিতেই বাংলার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। ওই আন্দোলনের কারণে আয়ুব খান বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিতে ঝোলাতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান না হলে ফাঁসির দড়ি থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে আমরা বাঁচাতে পারতাম না। গণঅভ্যুত্থানের ঐক্য দেখে পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। একইসঙ্গে আইয়ুব খান নির্বাচন না করার ঘোষণা করেন। ওই গণঅভ্যুত্থান বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিল।তোফায়েল আহমেদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি এ ধরনের অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে যেন আবাসনের আওতায় আনা যায় আমরা সে চেষ্টা করবো। শহীদ মতিউর রহমানের পিতা আজহার উদ্দিন মল্লিক বলেন, ‘আমার ছেলে শহীদ হওয়ার পর আমি বলেছিলাম ছেলে মারা গেছে তাতে কোনো দুঃখ নেই। কিন্তু তার রক্ত যাতে বৃথা না যায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আমার খুব ভালো লাগছে। তোফায়েল আহমেদের প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় আমার অন্য সন্তানরাও আজ মাথা গোজার ঠাঁই পেয়েছে। আমার খুব ভালো লাগছে।’ এমএএস/আরএস/এমএস
Advertisement