মতামত

বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

দুইটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। এ নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষ এড়াতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক যে অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্র ধরে একটি মেডিক্যাল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার এই শর্টকাট ফর্মুলা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এতে যে হাজার হাজার  শিক্ষার্থীর কত ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তার কোনো ইয়ত্তা নেই।এ সংক্রান্ত খবর থেকে জানা যায়, ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের জেরে এম-৫০ ব্যাচের ছাত্র শহীদকে মারধরের ঘটনায় দুইপক্ষের সংঘর্ষ এড়াতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এদিকে, মারধরের ঘটনায় এম-৫৩ ব্যাচের ছাত্র অনুপম দত্ত অর্ঘ, হিমেল ও এম-৫১ ব্যাচের সিয়ামকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।  এম-৫৩ ব্যাচের এক ছাত্রীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল একই ব্যাচের ছাত্র অনুপম দত্ত অর্ঘ, হিমেল ও এম-৫১ ব্যাচের সিয়ামসহ কয়েকজনের। ওই ছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো এম-৫০ ব্যাচের ছাত্র শহীদ। এ নিয়ে বুধবার রাতে বাঘমারা মেডিকেল হোস্টেলে সিনিয়র ছাত্র শহীদের সঙ্গে এম-৫৩ ব্যাচের ছাত্রদের বাকবিতাণ্ডা হয়। একপর্যায়ে অনুপম দত্ত অর্ঘ, হিমেল ও এম-৫১ ব্যাচের সিয়ামসহ কয়েকজন শহীদকে মারধর করে। পরে শহীদসহ এম-৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে বিক্ষোভ করে। এরপর বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে অবহিত করা হলে রাতেই কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. সাইফুল বারীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াই সমীচিন। এর প্রতিক্রিয়ায় যদি পরিস্থিতি ঘোলাটে করা হয় সেটিও মেনে নেয়ার কোনো কারণ নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মত বিষয়ে যারা পড়াশোনা করছেন তাদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণই প্রত্যাশিত। কোনো সমস্যা থাকলে সেটির যুক্তিযুক্ত সমাধানই কাম্য। এজন্য লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলার কোনো মানে নেই। এতে সমস্যা আরো বাড়ে। যার মাশুল দিতে হয় অনেককে। এ ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষকে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ যাতে ব্যাহত না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে শিক্ষাকার্যক্রম। এইচআর/পিআর

Advertisement