খেলাধুলা

ভারত ও শ্রীলংকা সফর নিয়ে আশাবাদী মোস্তাফিজ

ক্যারিয়ারটা শুরুই হয়নি বলতে গেলে। উদয়ের লগ্নটা ছিল তার যেন এক বিস্ফোরণ; কিন্তু অতি ব্যবহারের ফলে দ্রুতই ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে। পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের কথাই বলা হচ্ছে। যে অমিত সম্ভাবনা নিয়ে উদয় হয়েছিল, তত দ্রুতই যেন হারিয়ে যেতে বসেছেন তিনি। বিস্ময়কর কাটার মাস্টারের ক্যারিয়ারটা এখন চূড়ান্তভাবে হুমকির সম্মুখিন। প্রায় এক বছরের কাছাকাছি, ইনজুরির কারণে ঠিকভাবে মাঠে নামাই হচ্ছে না মোস্তাফিজের।গত বছর আইপিএল খেলে আসার পর ইনজুরির কারণে রিহ্যাবে থাকা মোস্তাফিজকে এক প্রকার জোর করেই পাঠানো হলো ইংল্যান্ডে সাসেক্সের হয়ে কাউন্টি খেলার জন্য। সেখানেই চূড়ান্ত ইনজুরির শিকার হলেন। এরপর বাম কাঁধে অস্ত্রোপচার করানো হলো। দেশে ফিরে প্রায় পাঁচ মাস বসে থাকলেন। রিহ্যাব করলেন। পুরোপুরি ফিট হওয়ার আগেই আবার তাকে পাঠিয়ে দেয়া হলো নিউজিল্যান্ড সফরে।সিডনিতে দুটি প্রাক প্রস্তুতি ম্যাচে তাকে নামানো হলো না ইনজুরির কারণে। এরপরে ফিটনেস পুরোপুরি না থাকার পরও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামিয়ে দেয়া হলো। দ্বিতীয় ওয়ানডে বাদ দিয়ে আবার নামানো হলো তৃতীয় ওয়ানডেতে। এরপর খেললেন আরও দুটি টি-টোয়েন্টি।শেষ পর্যন্ত ইনজুরিটা আবার মাথাছাড়া দিয়ে উঠলো মোস্তাফিজের। এবার পিঠে ব্যথা। মেরুদণ্ড ছাড়িয়ে গেছে সেই ব্যথা। মোস্তাফিজকে ছিটকে দেয়া হলো ভারতে বিপক্ষে অনুষ্ঠিতব্য একমাত্র টেস্ট ম্যাচের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দল থেকেও।যদিও নিউজিল্যান্ডে পুরো সফরেই দলের সঙ্গে রাখা হয়েছিল এই কাটার মাস্টারকে। দলের ফিজিও এবং চিকিৎসকরা তাকে রেখেছেন গভীর পর্যবেক্ষণে। ক্রাইস্টচার্চে শেষ টেস্টের পর আজ সকালে যখন টিম হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা হলো, মোস্তাফিজ দাবি করলেন- তিনি প্রাণপন চেষ্টা করছেন নিজেকে ফিট করে তোলার।মোস্তাফিজ বলেন, ‘আমি প্রাণপন চেষ্টা করছি। নেটে বল করছি। গতকাল প্রথম টানা ছয় ওভার বল করেছি। তাতে খুব বেশি ব্যথা লাগেনি। ব্যথাটা হচ্ছে কোমরের ডান দিক ঘেষে ঠিক পিছনের দিকে।’ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের খুব বেশি বাকি নেই। নিজের ফিটনেস পুরোপুরি না থাকলেও মোস্তাফিজ আশাবাদী ভারত সফর নিয়ে। তিনি বলেন, ‘ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে আমি আশাবাদি মোস্তাফিজ।’তবে তার কথা-বার্তা শুনে মনে হচ্ছে, নিজেকে শ্রীলঙ্কার সফরে শতভাগ ফিট দেখতেই বেশি আশাবাদী তিনি। আইএইচএস/জেআইএম

Advertisement