জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে আসামি ছিনতাই, গোলাগুলিতে আহত ১১

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায় হত্যা মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও দুর্বৃত্তদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। এ সময় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।রবিবার বিকেল ৩টায় উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের করপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় রামগঞ্জ থানা পুলিশের পিকআপভ্যান ও করপাড়া এলাকার কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান জানান, হামলায় দুই পুলিশ ও ইউপি সদস্য (মেম্বার) কালু মিয়া, মফিজুর রহমান, রুবেল হাওলাদার, জাকির হোসেন, বাবুল হোসেন, সুমন হোসেন, বেলাল উদ্দিন, বুলি বেগম ও তামান্না বেগমসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের রামগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।তিনি বলেন, আটকরা হলেন- করপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মজিবুল হক মজিব, ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন, রুহুল আমিন কালু, যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা, আ. রহিম মতিন। বাকিদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।পুলিশ সুপার জানান, পুলিশের কাছ থেকে যারা আসামি ছিনতাই করেছে ও পুলিশের ওপর হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছিনতাই করা আসামিকে আটকের জন্য অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বলে দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছেন।এলাকাবাসী জানায়, রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হকের উপস্থিতিতে একটি সালিশি বৈঠক চলছিল। বৈঠকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি পশ্চিম করপাড়া গ্রামের হারুনুর রশিদের মিঠু উপস্থিত ছিল। এ খবরে রামগঞ্জ থানা পুলিশ করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় চালিয়ে মিঠুকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে পুলিশ ভ্যানে তুলে আনার পথে ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক ও মিঠুর অনুসারীরা বাধা দেয়।এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মিঠুকে হ্যান্ডকাপসহ ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। এ সময় পুলিশ ও দুর্বৃত্তদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় চেয়ারম্যান অনুসারীরা পুলিশ ভ্যান ও কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে।এদিকে চেয়ারম্যান মজিবুল হক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ইউপি কার্যালয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনার সময় সংঘর্ষ দেখে তিনি বাড়ি চলে যান। পরে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে আটক করেছে বলে তিনি দ্য রিপোর্টকে জানান।রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ডাকাত মিঠুকে গ্রেফতারের পর চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে করপাড়া ও আশপাশ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Advertisement