খেলাধুলা

নিজেকেই অপরাধী ভাবছেন তামিম

এমন একটি সিরিজ যার প্রায় ম্যাচের কোনো না কোনো অংশ হয় ব্যাট না হয় বল হাতে জ্বলে ওঠা। আবার শেষ পর্যন্ত হতাশায় ডোবা। তামিম ইকবাল তাই সফরের অন্য সব ম্যাচের সাথে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টেরও চালচিত্রের মিল খুঁজে পেয়েছেন। তারপরও শেষ টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে এ ব্যর্থতা ও না পারার কারণ খুঁজতে গিয়ে আজ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে তামিমকে। ১৭ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের সংবাদ সম্মেলনে অনেক ধরনের প্রশ্নই উঠেছে। কেন এই না পারার সাতকাহন? কেন এই ব্যর্থতা?  ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে গিয়ে অনেক কথাই বলেছেন এ টেস্টের অধিনায়ক। তবে সবার আগে ম্যাচ হারের দায় নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। তাই তো মুখে এমন কথা, আমি সব দায় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিচ্ছি। কারণ, এ ম্যাচে আমিই ছিলাম অধিনায়ক। অধিনায়ক হিসেবে এ ম্যাচে যেভাবে আমার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া উচিত ছিল, আমি তা পারিনি।’ বলার অপেক্ষা রাখে না, ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে প্রথম টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে নেমে ব্যাট হাতে মোটেই ভালো করতে পারেননি। দুই ইনিংসে তার সংগ্রহ মোটে (৫+৮) = ১৩ রান। এর মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে দল যখন তার কাছ থেকে একটা বড় ইনিংসের আশায়, ঠিক তখন কিউই ফাস্ট বোলার টিম সাউদির খাটো লেন্থের ডেলিভারিকে পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরত আসেন। সত্যি কথা বলতে কি, দ্বিতীয় ইনিংসে ভুলের মিছিলে প্রথম পা বাড়িয়েছিলেন অধিনায়ক তামিম নিজেই। বাংলাদেশের ফ্রণ্টলাইন ব্যাটসম্যানদের কার কোথায় দূর্বলতা, কে কোথায় ভাল খেলেন, কার কোন শটের প্রতি দূর্বলতা- এসব হোমওয়ার্ক করেই দ্বিতীয় ইনিংসে ডিপ মিড উইকেট আর ওয়াইড লং অনের মাঝখানে এক ফিল্ডার দাঁড় করিয়ে তামিমকে শর্ট বল করেন সাউদি। তামিম নিজে তা  দেখেও ওই জায়গায় পুল খেলতে যান এবং সীমানার কাছাকাছি ক্যাচও তুলে দেন। যেখানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিং শুরুই করেছে ৬৫ রানে পিছিয়ে থেকে। সেখানে তামিমের ব্যাট থেকে একটা লম্বা ইনিংস বেরিয়ে আসলে দল চাঙ্গা হতে পারতো। পরের ব্যাটসম্যানদের মনে সাহস সঞ্চার হতো। অথচ হয়েছে উল্টোটা। তামিম আগে আউট হয়ে গেলেন দলকে কঠিন অন্ধকারের মধ্যে ঠেলে দিয়ে।  তামিম নিজেও তা বুঝছেন। আর বুঝেছেন বলেই, সব দায়-দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে বললেন, দ্বিতীয় ইনিংসে আমি খুব বাজেভাবে আউট হয়েছি। যা মোটেই কাঙ্খিত ছিল না। আমার ব্যাট থেকে একটা বড় ইনিংসের প্রত্যাশায় ছিল দল; কিন্তু সে প্রত্যাশা মেটাতে পারিনি। আরও কিছু আউট ছিল যেগুলো ঠিক কাঙ্খিত ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা কিছু করার ভালো সুযোগ ছিল। আবার আমরা নিজেরাই নষ্ট করেছি।’এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম

Advertisement