জাতীয়

বিএনপি আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের সহযোগী সংগঠন : আশরাফ

আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের সহযোগী সংগঠন হিসেবে বিএনপি যেন আর কোনোদিন বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসতে পারে সে জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে ওই সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ।সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আপনারা সতর্ক থাকুন, যাতে আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের সহযোগী সংগঠন বিএনপি যেন কোনোদিন বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসতে পারে।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি কোনোদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারলে আবারও বাংলাদেশকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য বানাবে। আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে তারা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে একযোগে সিরিজ বোমা প্রসঙ্গে আগে থেকেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জানতেন বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, খালেদা জিয়া এ বিষয়ে জানতেন। খালেদা জিয়া চেয়েছিলেন, বাংলাদেশে তালেবান-আল কায়দার মত জঙ্গিগোষ্ঠী গড়ে তুলতে। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। তিনি জঙ্গিদের পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন।তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া ও বিএনপি সবসময় জঙ্গিদের আড়াল করে রাষ্ট্রীয় শক্তির সহযোগিতা দিয়েছে। নতুবা তাদের কোনো সাহস ছিল না এত জায়গায় বোমা হামলা ঘটানোর।বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘হুমকি-ধামকি দিয়ে লাভ নাই। ওটা হুমকি পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে।’আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে আমরা কেন এ দিবস পালন করছি? এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ দিন জাতির সামনে একটা সংকেত আসে- তা হল ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠী প্রস্তুত। তারা জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।’বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের উপর মুলা ঝুলিয়ে রাখছে। এটা একটা জাহাজের গল্পের মত। এই লড়িছ না তোরে সারেং বানাব। কিন্তু ফখরুল সাহেবকে সারেং বানানো হবে না। খালেদা জিয়ার ছেলে দেশে না আসা পর্যন্ত কাউকেই মহাসচিব করা হবে না। তারেক দেশে এলে মা হবে চেয়ারম্যান, ছেলে হবে মহাসচিব। মির্জা ফখরুল সাহেব এক জন ভদ্রলোক। দেশের রাজনীতি নিয়ে তার সঙ্গে আমরা আলাপ আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তার জন্য আমার দুঃখ হয়।’বঙ্গবন্ধু হত্যায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জড়িত দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাই জানে লন্ডনে চ্যানেল-৪ এ এ্যান্থনি মাসকারানহাস এক সাক্ষাৎকার নেন। সেখানে ফারুক-রশিদরা স্পষ্ট স্বীকার করেছে জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে জড়িত। জিয়ার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করে আরেকটা রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা। দুর্ভাগ্য খালেদা জিয়ার। সেদিন শেখ হাসিনা ও রেহানা বিলাতে থাকায় জিয়ার ওই অভিলাষ একশ ভাগ বাস্তবায়ন করতে পারেনি।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, হাজী মোহাম্মদ সেলিম, আওলাদ হোসেন, সংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আলহাজ্ব সাঈদ খোকন প্রমুখ।

Advertisement