খেলাধুলা

নিউজিল্যান্ডকে ১০৯ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

দ্বিতীয় দিন শেষে টাইগারদের মনে ছিল জয়ের স্বপ্ন। তবে সেই স্বপ্ন এখন অনেকটা হতাশায় পরিণত হয়েছে। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৭৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ দল। আর এতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১০৯ রানের। চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হতে এখনো ১৯ ওভার বাকি আছে। ৬৫ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের ষষ্ট ওভারে সাউদির করা অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিচেল স্যান্টনারকে ক্যাচ দেন মুশফিকের ইনজুরিতে দায়িত্ব পাওয়া তামিম ইকবাল (৮)। তামিমের দ্রুত বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহ। দুইজনে মিলে গড়েন ৪১ রানের জুটি।তবে এরপরই হয় ছন্দপতন। গ্র্যান্ডহোমের বলে গালিতে জিত রাভালের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য সরকার (৩৬)। সৌম্যের বিদায়ের পর দুইবার জীবন পেয়েও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সাকিব। ব্যক্তিগত ৮ রান করে সাউদির বলে গ্র্যান্ডহোমের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। এরপর সবাই তাকিয়ে ছিল মাহমুদউল্লাহর ব্যাটের দিকে। তবে সবাইকে হতাশ করে ব্যাটের কানায় লেগে ওয়াগনারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান রিয়াদ (৩৮)। একই ওভারে সাব্বির ও সোহানকে বিনা রানে ওয়াটলিংয়ের তালুবন্দি করান ওয়াগনার। মাটি কামড়ে পড়ে থাকা তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শান্তকে (১২) বোল্ড করেন ট্রেন্ট বোল্ট। শান্তের বিদায়ের পর শূন্য রানে জীবন পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ ফিরেন ৪ রানে। ট্রেন্ট বোল্টের শর্ট বলে টম ল্যাথামকে শর্ট লেগে সহজ ক্যাচ দেন এই তরুণ।  মিরাজের বিদায়ের পর নবম উইকেটে ৫১ রানের জুটি গড়ে লিড ১০০ পার করেন তাসকিন আর রাব্বি। একটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩০ বলে ৩৩ রান করে বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তাসকিন। এরপর রুবেল হোসেনকে ফিরিয়ে ওয়াটলিংয়ের তালুবন্দি করে বাংলাদেশকে ১৭৩ রানে গুটিয়ে দেন টিম সাউদি। এর আগে নিউজিল্যান্ডকে ৩৫৪ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। আগের দিনের ৭ উইকেটে ২৬০ রানে ব্যাটিং করতে নামা স্বাগতিকরা লিড পায় হেনরি নিকোলস ও নেইল ওয়েগনারের নবম উইকেটের ৫৩ রানের জুটিতে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৮ রানের ইনিংস খেলেন নিকোলস। এছাড়া ওয়েগনার করেন ২৬ রান। বাংলাদেশের পক্ষে ৫০ রানে ৪টি উইকেট পান সাকিব। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন মিরাজ ও রাব্বি। এমআর/এমএস

Advertisement