তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে জেরুজালেমে স্থানান্তরের ব্যাপারে ইসরায়েলে থাকা মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা-বার্তা শুরু করেছে হোয়াইট হাউস। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ইসরায়েলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের যে নির্বাচনী প্রতিজ্ঞা ছিল তা পূরণের প্রাথমিক ধাপ শুরু হলো। খবর বিবিসির। জেরুজালেমকে ইসরায়েলে লোকজন নিজেদের জাতীয় রাজধানী দাবী করলেও এই শহরকে ফিলিস্তিনিরাও নিজেদের বলে দাবী করে।দীর্ঘদিনের নীতি ভেঙে তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে জেরুজালেমে নেয়ার জন্য প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।সদ্য শপথ নেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র। এমনকি তার নির্বাচনী প্রচারণার সময়েও সেই ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট।ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের সবচেয়ে স্পর্শকাতর এবং জটিল এক ব্যাপার হচ্ছে জেরুজালেম। তিনটি ধর্মের কাছে পবিত্র এই প্রাচীন নগরী। কিন্তু কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে শহরটি অনেকবার অবরোধ, ধ্বংসযজ্ঞ, দখল-পুনর্দখলের শিকার হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা চায় তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম। কিন্তু ইসরায়েলের দাবি, পূর্ব ও পশ্চিম জেরুজালেম মিলিয়ে পুরো শহরটিই তাদের রাজধানী।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের অনেক সদস্য রাষ্ট্রই জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকার করে না। অধিকৃত পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ এবং বসতি নির্মাণও আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত নয়।মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করবেন বলে অঙ্গীকার করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।রোববার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা আলোচনার একেবোরেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন।টিটিএন/এমএস
Advertisement