ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় দিন পুরোটাই আমাদের দখলে ছিল। তৃতীয় দিন সকালে বোলাররা যদি আরও একটি ভালো করতে পারে, তাহলে টেস্টের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই আমরা নিয়ে নিতে পারতাম; কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিন একটি বলও মাঠে গড়ালো না। অথ্যাৎ তিনটা দিন শেষ হয়ে গেলো, এখনও টেস্ট কোনদিকে যাবে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।আবহাওয়ার পূর্বাভাষ জানান দিচ্ছে, আগামী দু’দিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। খেলা হবে কি না শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রকৃতির ওপরই সব দায় ছেড়ে দিতে হবে। যেহেতু এখানে মানুষের কোনো হাত নেই। সুতরাং, প্রকৃতির খেয়াল-খুশির ওপর ছেড়ে দিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তবুও বৃষ্টি যদি থেমে যায়, খেলা যদি হয়- তাহলে বলবো, এখনও ভালো অবস্থায় আছি আমরা; কিন্তু ভয়ের বিষয় হচ্ছে, বৃষ্টির পর কাল যদি খেলা হয়, তাহলে যতটা সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল আমাদের, তার চেয়েও হয়তো কম সুবিধা পাবো। কারণ আমাদেরকে তৃতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে হবে। এটা হয়তো আমাদের জন্য বিপক্ষেও যেতে পারে। তার ওপর বৃষ্টির পরে খেলা হওয়ার কারণে আমাদের স্পিনারদের বল গ্রিপ করতে সমস্যা হতে পারে। এমন বৃষ্টি বিঘ্নিত কন্ডিশনের জন্য ওরাই (নিউজিল্যান্ড) হয়তো সুবিধাটা বেশি পাবে।
Advertisement
যদিও হাতে আছে এখনও দু’দিন। এই দু’দিনেও ফলাফল আসাটা সম্ভব। কারণ, যত যাই বলি, আমাদের ব্যাটসম্যাদের তো বিশ্বাস নেই। ওয়েলিংটন টেস্টের স্মৃতি তো ভুলে যাওয়ার কথা নয়। এত ভালো খেলার পরও দেখা গেলো মাত্র দেড় সেশনেই আমরা তাদের কাছেঠ হেরে গেলাম। এখানে তো এখনও পুরোপুরি দুই দিন বাকি।সুতরাং, অন্তত টেস্টটা ড্র করতে হলে আমাদেরকে সেশন বাই সেশন ভালো খেলতে হবে। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্যই ব্যাটিংটা ভালো করতে হবে। কাল সকালে যদি তাদেরকে দ্রুত অলআউট করে দেয়া যায়, তাহলে কাল বাকি সময়টা এবং পঞ্চম দিন লাঞ্চ পর্যন্ত অন্তত আমাদের ব্যাটিং করতে হবে এবং তাদের সামনে এমন একটি লক্ষ্য দিতে হবে, যেটা পার হওয়া কঠিন হবে তাদের জন্য। মোট কথা, পুরো খেলাটাই এখন নির্ভর করছে আমাদের ব্যাটসম্যানদের ওপর।আইএইচএস/