বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন না হলে আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া ১০টি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের অন্যান্য পরীক্ষা চলমান হরতাল-অবরোধের মধ্যেই নেওয়া হবে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রকাশিত সময়সূচি (রুটিন) অনুযায়ী প্রতিটি পরীক্ষা নির্ধারিত দিনে অনুষ্ঠিত হবে। কোনো রাজনৈতিক জোটের কর্মসূচি থাকুক আর নাই থাকুক, তাতে পরীক্ষাসূচির কোনো ব্যত্যয় ঘটাবে না সরকার। কেবল বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া প্রতিটি পরীক্ষাই নির্ধারিত দিনে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।সোমবার শিক্ষামন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু বক্কর ছিদ্দিকসহ মন্ত্রণালয়ের সব যুগ্ম সচিব উপস্থিত ছিলেন। রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠক শেষে কর্মকর্তাদের কেউ কোনো কথা বলতে চাননি।তবে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নির্ধারিত সূচি অনুসারে সব পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য পুলিশ প্রশাসন, সকল জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।সভা সূত্র জানায়, সভায় সংশ্লিষ্টরা হরতালের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেন। কর্মকর্তারা বলেন, বিএনপি জোটের ডাকা লাগাতার হরতাল-অবরোধের প্রভাব সারাদেশেই এখন শিথিল হয়ে পড়েছে। চলমান এসএসসির লাখ লাখ পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বার বার পরীক্ষা পেছানোয় ত্যক্ত-বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারা পড়াশোনার ক্ষেত্রেও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক বিষয়ের প্রস্তুতি নিয়ে পরে অন্য বিষয়ের পরীক্ষা পরীক্ষার্থীদের সামনে চলে এসেছে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরও বলেন, উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা ১৮ বছর বয়সী। তারা শিশু বা কিশোর নয়। সুতরাং নিজ দায়িত্বে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বা আসতে তারা সক্ষম। এ ছাড়া সভায় যুক্তি দেখানো হয়, বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের দূরপাল্লার নৈশকোচও চলাচল শুরু করেছে। এতে পরীক্ষার খাতা আনা-নেওয়ার কাজেও তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধ থাকলেও পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এআরএস/আরআইপি
Advertisement