ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ দেশটির বিভিন্ন শহর। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার একদিন পর শনিবার দেশটির প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে লাখ লাখ নারী গণ প্রতিবাদে নেমেছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে। নারীর অধিকারে সমর্থন জানাতে ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করতে নারীরা প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডাক দেয়া এই প্রতিবাদ বিভিন্ন দেশেও দেখা গেছে। ব্রিটেনের রাস্তায়ও ট্রাম্পবিরোধী প্রতিবাদে নেমেছেন সেদেশের নারীরা। ওয়াশিংটনের প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন তারকারাও; অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন, ম্যাডোনা, কেটি পেরি, হেলেন মিরেন, মাইলি সাইরাস ও চের যোগ দিয়েছেন প্রতিবাদে। ওয়াশিংটন ডিসির বিক্ষোভে অভিনেত্রী এমা ওয়াটসনবিক্ষোভকারীরা বলছেন, ট্রাম্পবিরোধী এ প্রতিবাদে ১০ লাখেরও বেশি নারী অংশ নিয়েছেন। মেক্সিকান অভিবাসন, মুসলিম, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও পরিবেশবাদীদের নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত নীতি ও মন্তব্যের কারণে প্রতিবাদে ব্যাপক জনসমাগম ঘটেছে। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বলছে, ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে লন্ডনের রাস্তায় প্রায় এক লাখ নারী নেমেছেন। নারী অধিকার গ্রুপ ও বামপন্থীরা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও প্যারিস, বার্লিন, এডিনবার্গ, রোম, প্রাগ, আমস্টারডাম, অ্যাথেনস, কোপেনহেগেন, নয়াদিল্লী, ব্রাসেলস, মেক্সিকো সিটি, বার্সেলোনা, টরন্টো, মাদ্রিদ, জেনেভা, কার্ডিফ, ও সিডনিতেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ করছেন নারীরাএদিকে, ট্রাম্পবিরোধী এ বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ‘সানডে এক্সপ্রেস’। মানবাধিকার কর্মীদের বরাত দিয়ে এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এদিকে, নাইজেরিয়ার সাউদার্ন রাইভার্স রাজ্যে ট্রাম্পের সমর্থনে মিছিল হয়েছে। এ সময় মিছিলকারীরা নাইজেরিয়া সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় পুলিশ। মিছিলে অংশ নেয়া বায়াফ্রা আদিবাসীদের হাতে মার্কিন পতাকা ছিল। পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়ায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। বায়াফ্রাদের এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, পুলিশের গুলিতে অন্তত ২০ জন মারা গেছে। নিখোঁজ রয়েছে ২ শতাধিকের বেশি। তবে পুলিশ হতাহতের তথ্য অস্বীকার করে বলছে, ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসআইএস/এমএস
Advertisement