বিশেষ প্রতিবেদন

২৬ এয়ারলাইন্সের কাছে বেবিচকের পাওনা ১৮ শ কোটি টাকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এখনো আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের (আইকাও) খাতায় এখনো ক্যাটাগরি-২। নিরাপত্তা, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও অবকাঠামোগত উন্নয়নই ক্যাটাগরি উন্নয়নে প্রধান অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত। অর্থ সংকটে পিছিয়ে থাকা এসব ক্ষেত্রের উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। অথচ রাষ্ট্রীয় এবং দেশ-বিদেশের ২৬টি এয়ারলাইন্সের কাছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির (বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক) বকেয়ার পরিমান ১ হাজার ৮শ কোটি টাকার উপরে। সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বকেয়া অর্থ আদায় করা গেলে বিমান বন্দরের উন্নয়ন করা সহজতর হতো।সিভিল এভিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, ২৪টি বিদেশি এয়ারলাইন্সের কাছে তাদের বকেয়া আছে ৪০ কোটি টাকার নিচে। তবে শুধু বিমানের কাছেই তাদের পাওনা বকেয়া ১ হাজার ৮শ’ কোটি টাকা।বকেয়ার তালিকায় ভারতের আটটি এয়ারলাইন্সও রয়েছে। এরমধ্যে অপারেশন বন্ধ থাকা একটি এয়ারলাইন্সের কাছে পাওনা দেড়শ কোটি টাকার বেশি। দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা চালিয়েও বকেয়া আদায় করতে পারছে না সিভিল এভিয়েশন। তবে অনেক দেন দরবারের পর বিমান মাসিক কিস্তিতে যৎসামান্য পরিশোধ করছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কমকর্তারা।সিভিল এভিয়েশন সূত্রে জানা যায়, তালিকায় ভারতীয় এয়ারলাইন্সের মধ্যে রয়েছে ডেকান এক্সপ্রেস, এয়ার ডেকান, কিংফিশার এয়ারলাইন্স, ভায়দূত  এয়ারলাইন্স, দামানিয়া এয়ার, ইস্ট ওয়েস্ট এয়ারলাইন্স, এনইসিপি এয়ার  এবং কানোয়ার এয়ার। এ আটটি এয়ারলাইন্সের কাছে সিভিল এভিয়েশনের বকেয়া রয়েছে ২১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮৮ ডলার।  এছাড়া বাকি ১৬টি বিদেশি এয়ারলাইন্স হচ্ছে যুক্তরাজ্যের এমকে এয়ারলাইন্স ও ভার্জিন এয়ার, ইতালির এএল ইতালিয়া ও লায়ুডা এয়ার, মিয়ানমারের মিয়ানমার এয়ার ও মিয়ানমার এয়ারওয়েজ, ইরাক এয়ারওয়েজ, ইরান এয়ারওয়েজ, ইন্দোনেশিয়ার গারুদা এয়ার, এয়ার ইয়েমেন, মালেভ হাঙ্গেরি, রোমনিয়া এয়ারলাইন্স, গ্রিসের ওলেম্পিয়া এয়ারলাইন্স, ইউক্রেনের অ্যারোসভিত এয়ারলাইন্স, জার্মানির  এলটিইউ ইন্টারন্যাশনাল এবং বলকান বুলগেরিয়ান।এ বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনের অর্থ বিভাগের সদস্য মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর কাছ থেকে বকেয়া আদায়ের জন্য বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১২ সালের জুনে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় বকেয়া আদায়ে সহযোগিতা চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। তবে এখন পর্যন্ত চিঠির কোনো জবাব পায়নি বেসামনিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, ইতালির রাষ্ট্রীয় পতাকাকাবাহী এএল ইতালিয়া এয়ারলাইন্সের কাছে সিভিল এভিয়েশনের বকেয়া প্রায় ১০ লাখ ডলার। জার্মানির এলটিইউ ইন্টারন্যাশনালের কাছে বকেয়া  ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ ডলার এবং ব্রিটেনের ভার্জিন এয়ারলাইন্সের কাছে বকেয়া রয়েছে ১৮ হাজার ডলার।তবে, সবকিছুর পরও বকেয়া আদায়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে মিজানুর রহমান বলেন, দেরিতে ও পরিমানে অল্প হলেও বিমান কিছু কিছু করে পরিশোধ করতে শুরু করেছে।আরএম/এমএস

Advertisement