প্রবাস

প্রবাসীদের সেবায় নিরন্তর চেষ্টা দূতাবাসের

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে দ্রুত মেশিন রিডাবল পাসপোর্ট (এআরপি) পৌঁছে দিতে ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে চলছে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও পাসপোর্ট বিতরণ। দেশটির পাহাড় ঘেরা এলাকায় দুই দিনব্যাপী মোবাইল ক্যাম্পের এ কার্যক্রম আজ (রোববার) বিকেলে শেষ হচ্ছে। শনিবার বেলা ১০টায় হাই কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম ফিঙ্গার প্রিন্ট ও পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রবাসীদের সেবা প্রদানে দূতাবাসের এ মোবাইল টিম নিরন্তর কাজ করছে। মালয়েশিয়ার প্রত্যেকটি প্রদেশে ছড়িয়ে থাকা শ্রমিকদের হাতে ডিজিটাল পাসপোর্ট পৌছে দিতে এ প্রচেষ্টা।  হাই কমিশনার বলেন, প্রতি মাসের শনি ও রবিবার দূতাবাসের এ মোবাইল টিমটি নতুন পাসপোর্টের আবেদন ও বিতরণ করবে। মোবাইল ক্যাম্পে বাংলাদেশিদের আবেদন জমা দেয়া এবং ডিজিটাল পাসপোর্ট বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলার (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম, ফার্ষ্ট সেক্রেটারি এম এসকে শাহীন, পাসপোর্ট-ভিসা শাখার ফার্ষ্ট সেক্রেটারি মো. মশিউর রহমান। এছাড়া মোবাইল টিমে রয়েছেন দূতাবাসের পাসপোর্ট শাখার অফিস সহকারী সুশান্ত সরকার ও আরিফুল ইসলাম।মশিউর রহমান জানান, মালয়েশিয়া প্রবাসীরা সহজেই যাতে এমআরপি হাতে পান সে্জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে হাইকমিশন। ঘোষিত ওয়ানস্টপ সার্ভিসের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রদেশে মোবাইল টিমের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ ও নতুন আবেদন নেয়া হচ্ছে, যাতে সাধারণ শ্রমিকদের বেগ পেতে না হয়।তিনি আরও জানান, আগত প্রবাসীদের একদিনের মধ্যেই জন্মনিবন্ধন জমা নেয়া, ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ ও ছবি তোলার কাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ যেন এমআরপির আওতার বাইরে না থাকেন সে জন্য এ ক্যাম্পিং।দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এমএস কে শাহীন জানান, মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটেয়ে থাকা সব প্রবাসীর হাতে এমআরপি পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টা অনেক দিনের। তিনি আরও বলেন, দূতাবাসের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার অবৈধ শ্রমিক বৈধতার আওতায় এসেছেন। এক মাসের মধ্যেই গ্রাহকের হাতে এমআরপি পাসপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছে দূতাবাস।প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, দূতাবাস কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা ও হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলামের নির্দেশনার কারণেই পাহাড় ঘেরা ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে তারা সহজেই মেশিন রিডাবল পাসপোর্ট করতে পারছেন।। এমএমজেড/এমএস

Advertisement