আন্তর্জাতিক

সাইবার বক্তৃতায় মনিকার যৌন কেলেঙ্কারির কথা (ভিডিও)

সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আলোচিত নারী মনিকা লিওনস্কি টেড-এর এক সম্মেলনে বক্তৃতা করেন। টেকনোলজি, এন্টারটেইনমেন্ট এন্ড ডিজাইন (টেড) এর সম্মেলনে তিনি ইন্টারনেট ও আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে অনেক কথা বলেন। তিনি নিজেকে সাইবারের প্রথম বড় ধরণের শিকার বলে দাবি করেন। খবর বিবিসি নিউজ।১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে তার যৌন কেলেঙ্কারির বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়ে আছেন। ক্লিনটন সরকারের সময়ে হোয়াইট হাউসের ইন্টার্ন (শিক্ষানবীশ) ছিলেন মনিকা লিওনস্কি। মনিকা বলেন, ইন্টারনেটে একটি সংস্কৃতি দাঁড়িয়ে গেছে যেখানে লোকজন অন্যের লজ্জা দেখে খুশি হন। ঐ সময় তার বক্তব্য সাদরে গ্রহণ করেন উপস্থিত দর্শকরা। দ্বিতীয়বারের মতো লোকসম্মুখে বক্তৃতা করতে আসা মনিকা অনেক কথার ফাঁকে অনেক মজাও করেন। তিনি বলেন, আমি এখন ৪০ বছর পার করেছি। আর ২৪ বছর বয়সে আমি আমার বিধ্বংসী ভুলের মাশুল পেয়েছি। তবে আমাকে কেউ ভুল করে কেউ ২২ বছরের জন্য অভিনন্দন জানাবেন না। উল্লেখ্য, মনিকা ২২ বছর বয়সে ক্লিনটনের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।ইন্টারনেট আমার অপমানকে বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি যখন ৯৮ সালের দিকে তার (ক্লিনটন)সাথে অসামঞ্জস্য প্রেম করছিলাম তখন গোটা মিডিয়া, রাজনৈতিক প্রভাব আমার দিকে ধেয়ে এসেছিল। এরকম ঘটনার সাথে আমি এর আগে পরিচিত ছিলাম না। আমার এই লজ্জার ঘটনা ডিজিটাল মিডিয়ার বিপ্লব হিসেবে আখ্যা দেব আমি। কারণ, অনেক ফলাও করে আমার সংবাদ পরিবেশন করা হয়। তিনি টেড সম্মেলনে উপস্থিতদেরকে বলেন, আমার এই ঘটনা অনলাইনগুলোতে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর নিয়মিত সংবাদের পরিবর্তে আমার এই সংবাদ খুব গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ হতে থাকে। অবশ্য সে সময় এখনকার মতো সামাজিক যোগাযোগের এত সাইট ছিল না।আজ থেকে ১৭ বছর আগে অনলাইনে নাশকতামূলক ঘটনা প্রকাশ হলে এর কোন বিশেষণ পাওয়া যেত না। কিন্তু আজ একে বলা হয় `সাইবার হয়রানি`। উল্লেখ্য, মনিকার সেই নীল রঙের স্কার্ট নিয়ে মুখরোচক আলোচনার ঝড় উঠেছিল সেসময়। মনিকার নীল স্কার্টে পাওয়া গিয়েছিল ক্লিনটনের শুক্রাণু। প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন ব্যাপক নিন্দিত হন। এক পর্যায়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মনিকা। তাকে হোয়াইট হাউসের চাকরিও হারাতে হয়েছিল। এমজেড/এমএস

Advertisement