ভিসি কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সংঘটিত ঘটনার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বিএম আবদুল হান্নান। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. জাকারিয়া স্বপন কর্তৃক উত্থাপিত অভিযোগকে সম্পূর্ণ অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মর্যাদাহানিকর বলে উল্লেখ করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সংবাপত্রে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এএসএম জাকারিয়া স্বপনের ঊদ্বৃতি দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সে সংবাদের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুষ্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে উপাচার্য (ভিসি) উপ-উপাচার্যবৃন্দ (প্রোভিসি), কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও কয়েকজন পরিচালক নিয়মিত সভায় উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এএসএম জাকারিয়া স্বপন সভায় উপস্থিত প্রক্টর ও পরিচালকদের থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন। এ নিয়ে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও প্রক্টরের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানালে সবাই শান্ত হন। পরবর্তীতে সবার উপস্থিতিতে আরও আধাঘণ্টা সভা চলে। এখানে কোনো মারামারি বা হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উপাচার্য কর্তৃক উপ-উপাচার্যকে (শিক্ষা) হেনস্তার প্রশ্নই উঠে না। এ ধরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য এবং ভিত্তিহীন। সভা শেষে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) তার কয়েকজন অনুসারী চিকিৎসক নিয়ে বি ব্লকের চার তলায় প্রক্টরের অফিসে ডাকাডাকি, হৈচৈ, গালিগালাজ এবং দরজায় সজোরে ধাক্কা মারেন। সেখানে প্রক্টরকে না পেয়ে সি ব্লকের চারতলায় ইউরোলজি বিভাগে প্রক্টরের ক্লিনিক্যাল রুমে গিয়ে হৈচৈ, দরজায় লাথি এবং প্রক্টরকে খোঁজাখুজি করেন। খবর পেয়ে প্রক্টর কয়েকজন সহকর্মীসহ উপাচার্যের কার্যালয়ে আসার জন্য প্রবেশ পথ পর্যন্ত পৌঁছালে উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) অনুসারী ডা. বিজয় কুমার পালের নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক চিকিৎসক প্রক্টরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ এবং মারতে উদ্যত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের লোকজন পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে কোনো হাতাহাতি বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি। পরবর্তীতে আনসার ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হলে পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত এবং কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অফিসকালীন সময় শেষ হয়। এ ছিলো বৃহস্পতিবারের প্রকৃত ঘটনা। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদপত্রে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এএসএম জাকারিয়া স্বপনের ঊদ্বৃতি দিয়ে উপাচার্যকে জড়িয়ে সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও অত্যন্ত মর্যাদাহানিকর সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এমইউ/এএইচ/পিআর
Advertisement