নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কোন ম্যাচই খেলা হতো না দু`জনের, যদি না চোটে পড়তেন মুশফিকুর রহীম কিংবা মুমিনুল হক। সফরেরর শুরুর ম্যাচ- প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিক হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়লে নুরুল হাসন হোসানের সামনে ওয়ানডে অভিষেকের দরজা খুলে যায়। টেস্ট দলেও ছিলেন, তবে মুশফিকুর সুস্থ হয়ে ফেরায় প্রথম টেস্টে বিবেচনায় আসেননি। কিন্তু বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক ওয়েলিংটন টেস্টে বাউন্সারের আঘাতে ছিটকে পড়লে টেস্ট দলে অভিষেকের দরজাও খুলে যায় ডানহাতি তরুণ উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানের জন্য।নাজমুল হক শান্তর ব্যাপারটা আরও বেশি অবাক করা। দলের সঙ্গে ছিলেন কন্ডিশনিং ক্যাম্পের সদস্য হিসেবে। তবে স্কোয়াড়ে ছিলেন না। হঠাৎই পাজরের ব্যথায় মুমিনুল ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট থেকে ছিটকে যাওয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই ক্রিকেটারকে টেস্ট স্কোয়াডে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। টেস্ট ক্রিকেটের মত অভিজাত সংস্করণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রবেশ করায় শুক্রবার দিনটা হয়তো স্মরনীয়ই হয়ে থাকবে এই যুবার।১৭৯ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর এই দুই অভিষিক্তর ভূমিকাও প্রশংসনীয় হয়ে থাকলো। ষষ্ঠ উইকেটে এই দুই ব্যাটসম্যান যোগ করেন ৫৩ রান। স্কোর বোর্ডে নাজমুলের ১৮ রান দেখে হয়তো তার ইনিংসটির মহিমা তেমন কিছু বুঝাবে না। কিন্তু যারা টেলিভিশনে খেলা দেখেছেন তারা বলতে পারবেন আসলে কতটা কার্যকরী আর মূল্যবান ছিল এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের ৫৬ বলের ইনিংসটি।২৩২ রানের মাথায় নাজমুল ফিরে গেলেও নুরুল হাসান হোসান ছিলেন শেষ উইকেট জুটির আগের জুটি পর্যন্ত। ফিফটি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থেকে ৪৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। কিউইদের নবম শিকার হওয়ার আগে তার ৯৮ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার। আর অভিষেকেই নিউজিল্যান্ডের মত কন্ডিশনে সোহান-নাজমুলের এমন ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করতে ভুল করলেন না বাংলাদেশের ইনিংসের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এই ওপেনার বললেন, ‘অভিষেকে সোহান ও শান্ত খুব ভালো ব্যাট করেছেন। একদম নতুন হয়েও কেউ ঘাবরে না গিয়ে সাহস নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্ট করেছে। আমার খুব ভালো লেগেছে।’এমআর/পিআর
Advertisement