কুয়েতে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিন নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। ফেসবুকে চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা।বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকাগুলোতেও দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার। সন্ধ্যা হতে মধ্যরাত পর্যন্ত কুয়েত সিটি হোটেলে চলে বৈঠক আর চায়ের আড্ডা। নির্বাচন নিয়ে চলে আলোচনা-সমালোচনা কে হতে যাচ্ছেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক।নতুনদের কাউন্সিলর করা হয়েছে বাদ পড়েছে পুরাতন আওয়ামী লীগের সমর্থক ও নেতাকর্মী। আবার বিএনপি জামায়াত সমর্থক অনেক নেতাকর্মীকে আওয়ামী লীগের কমিটিতে কাউন্সিলর করা হয়েছে বলল অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সকল দলকে একত্রিত করার জন্য কিছু প্রবীন নেতা চেষ্টা করে আসছিলেন।বর্তমান রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা কুয়েতে আসার পর থেকে কয়েক ভাগে বিভক্ত কুয়েত আওয়ামী লীগ। নেতাকর্মীর ঐক্যের জন্য রাষ্ট্রদূতের কাছে দাবি জানান কুয়েত আওয়ামী লীগের নেতারা। অবশেষে সবার সম্মতিক্রমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি দেবেন বলে মন্তব্য করেন।১৯ আগস্ট ২০১৬ কুয়েত সিটির মালিয়ায় হোটেল সুইচ বেল প্লাজায় এক অনুষ্ঠানে কয়েক ভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগকে একসঙ্গে করার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সব কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম। রবিউল আলম রবিকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করে তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। দুই মাসের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার কথা ছিল।নির্বাচন আহ্বায়ক কমিটি ৪ শ ৮৫ জনকে ডেলিগেট করে একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করা করেছে। জামায়াত, শিবির কর্মী ও নতুন প্রবাসীদের কাউন্সিলর করায় আওয়ামী লীগ কাউন্সিলরদের মাঝে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। কবে নাগাদ ভোট হবে সেটার কোনো নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ হয়নি। গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রদূত বরাবর কাউন্সিল বাতিলের লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।নতুনভাবে কাউন্সিল করে দ্রুত নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান তারা। সভাপতি পদপ্রার্থীরা হলেন; শহিদুল ইসলাম পাপুল, আতাউল গনি মামুন, রব মাওলা এবং সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীরা হচ্ছেন ফয়েজ কামাল, নজরুল ইসলাম, বাহার উদ্দিন, শাহনাজ নজরুল, সামসুল ইসলাম, আশেক আলী ফেরদৌস, গোলাম মাওলা।আবু সাদেক রিপন/এমআরএম/এমএস
Advertisement