আগামী রোববার আগারগাঁওয়ের নতুন ভবনে অফিস করবেন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বিদায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগেই ইসি সচিবালয় ও নির্বাচন কমিশনের সব ধরনের সামগ্রী ‘নির্বাচন ভবনে’ স্থানান্তর করা হবে।এরই মধ্যে শনিবার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বহুতল ভবনটির উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে নির্বাচন কমিশনের বর্তমান ইসির কার্যালয় ১৯৭৩ সাল থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে ইসির নিজস্ব ভবন ‘নির্বাচন ভবন’ আগারগাঁওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।এখন দ্রুত নতুন ভবনে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। মঙ্গলবার ইসি সচিবালয়ে স্থানান্তর কাজ শেষ করার বিষয়ে সভা করেন অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে সব কিছু নতুন ভবনে স্থানান্তর করবো। ২২ জানুয়ারি থেকে সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আমরা নির্বাচন ভবনে অফিস করবো।’স্বাধীনতা অর্জনের ৪৫ বছর পার হলেও এতদিন নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কোনো অফিস ভবন ছিল না। দীর্ঘদিন পরিকল্পনা কমিশনের চত্বরে দুটি ব্লকে নির্বাচন কমিশনের অফিস ছিল। ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, পাকিস্তান আমলে সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিশনারের অফিস ছিল ইসলামাবাদে এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রভিনশিয়াল ইলেকশন কমিশনের অফিস ছিল ঢাকার মোমেনবাগে। ১৯৭১ সালে মে-জুন মাসে মুক্তিযোদ্ধারা প্রভিনশিয়াল ইলেকশন কমিশনের অফিসে বোমা হামলা করে এবং এতে একজন নৈশ প্রহরী মারা যান।এরপর ১৯৭১ সালের জুনে প্রভিনশিয়াল ইলেকশন কমিশনের অফিস সচিবালয়ে স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিস পরিকল্পনা কমিশনের ৫ ও ৬ নম্বর ব্লকে স্থানান্তরিত হয়।বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে জুলাই ২০১১ থেকে জুন ২০১৭ মেয়াদে কন্ট্রাকশন অব ইলেকশন রিসোর্সেস সেন্টার (ইআরসি) প্রকল্পের প্রাক্কলিত ২১৩.০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি বেইজমেন্ট ও ১২ তলাবিশিষ্ট ১.২২ লাখ বর্গফুট আয়তনের ইটিআই ভবন এবং দুটি বেইজমেন্ট ও ১১ তলাবিশিষ্ট ২.৫৮ লাখ বর্গফুট আয়তনের নির্বাচন ভবন নির্মাণ হলো।এইচএস/ওআর/এমএস
Advertisement