স্বাধীনতা দিবসেও বদলালো না ভারতের ব্যাটিংয়ের চিত্রটা৷ সাউদাম্পটন থেকে ম্যানচেস্টার ঘুরে আবার লন্ডন৷ সর্বত্রই একই দৃশ্য৷ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আগের টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৫১ রান করেছিল ধোনির দল৷ ওভালে তার চেয়েও তিন রান কম করলো ধোনিরা৷ গুটিয়ে গেল ১৪৮ রানে।তবে ভারত বড় ধরণের লজ্জা থেকে বেঁচে গেছে ধোনির কল্যাণে। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ইশান্ত শর্মা। ৯০ রানে ৯ উইকেট হারানো ভারত দুজনের শেষ জুটির কল্যাণে ১৪৮ রান করতে সমর্থ হয় ভারত।গত চারটি টেস্টের মতো ওপেনারদের ব্যাট থেকে এদিন যেমন রান এল না, তেমনি আবার চূড়ান্ত ব্যর্থ ভারতীয় টপ অর্ডারের দুই স্তম্ভ বিরাট কোহলিও চেতেশ্বর পূজারা৷ শুক্রবার টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে হুড়মুড় করে ধস নামল ভারতের তথাকথিত ‘হেভিওয়েট’ ব্যাটিং লাইন আপে৷ ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নামার পর অবশ্য উইকেটে তেমন কোনো জুজুই নজরে আসেনি৷ ইশান্ত-ভুবিদের অনায়াসে সামলে দিনের শেষে বিনা উইকেটে ৬২ রান তুলেছে তারা৷ ক্রিজে অপরাজিত অধিনায়ক কুক (২৪) এবং রবসন (৩৩) রানে।এদিন লন্ডনের মেঘলা আবহাওয়ায় টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিতে একেবারেই দ্বিধা করেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক৷ আর ক্যাপ্টেনকে হতাশও করেননি ইংল্যান্ড পেসাররা৷ ম্যানচেস্টার টেস্টে নাকের হাঁড় ভাঙার পর এদিন বল হাতে যথেষ্ট সাবলীলই দেখিয়েছে স্টুয়ার্ট ব্রডকে৷ মাত্র দু’টো উইকেট পেলেও পূজারা এবং ধোনির গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেটই পেয়েছেন তিনি৷ ম্যানচেস্টারের ব্যর্থতার পর এদিন নিজেকে প্রমাণ করার আরো একটা সুযোগ পেয়েছিলেন ওপেনার গম্ভীর (০)৷ কিন্তু সেই কাজে চূড়ান্ত ব্যর্থ তিনি৷ অ্যান্ডারসনের প্রথম বলেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়ানে ফেরেন কেকেআর অধিনায়ক৷এরপর পূজারা (৪) , কোহলি (৬) , রাহানে (০) একে একে প্যাভিলিয়ানে ফেরার পর খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি আরেক ওপেনার মুরালি বিজয়ের ইনিংসও৷ ১৮ রান করে ওকসের বলে আউট হন তিনি৷ ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে এদিন অ্যান্ডারসন এবং ব্রড ছাড়াও যথেষ্ট সফল অপর দুই পেসার ওকস এবং জর্ডান৷ দু’জনেই পান তিনটি করে উইকেট৷ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ম্যানচেস্টারের মতোই এদিনও একটা মরিয়া লড়াই চালানোর চেষ্টা করেছিলেন৷ সঙ্গীর অভাবে সেঞ্চুরিটাও মিস করলেন তিনি৷প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ক্রিজে কাটিয়ে ৮২ রান করেন তিনি৷ ইশান্ত শর্মার সঙ্গে শেষ উইকেটের জুটিতে ৫৮ রান যোগও করেন মাহি৷ ভারত অধিনায়কের এই মরণপণ লড়াই অবশ্য ভারতকে আরো একটা লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি৷ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার যেভাবে ব্যাট করছেন, তাতে দ্বিতীয় দিনে অনায়াসে তাদের বড় রানের লিড নেওয়া প্রায় নিশ্চিত৷ এমনটা হলে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পক্ষে যে অলৌকিক কিছু করে দেখানোটা অসম্ভব হবে৷ সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷
Advertisement