প্রবাস

আমিরাতে নিষিদ্ধ বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে দুবাই ইকোনমিক ডিপার্টমেন্ট।  অল্প সময়ে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠা বিকাশ আমিরাতে সম্পূর্ণ অবৈধ, যা অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি এখনো জানেন না। গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর কারণে দুবাইয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ২০ হাজার দিরহাম জরিমানা করা হয়। দুবাই ইকোনমিক ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, এ ধরনের অভিযান আমিরাতের প্রতিটি বিভাগে চালানো হবে।  বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিরা আগে এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকে দেশে টাকা পাঠালেও বর্তমানে তা অনেক কমে গেছে। বেশিরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশি বিকাশের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠান।আমিরাত প্রশাসনের কাছে বিকাশের বিরুদ্ধে প্রথমে আল-আনসারি এক্সচেঞ্জ অভিযোগ করলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংক অভিযোগ করে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুবাই ইকোনমিক ডিপার্টমেন্ট এ অভিযান শুরু করেছে।এদিকে জরিমানাপ্রাপ্ত এক প্রবাসী বাংলাদেশি মুহাম্মদ মহিউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, দুবাইয়ের ফিরুজমুরায় আমার একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে জরুরি প্রয়োজনে দেশে টাকা পাঠানোর জন্য বিকাশের ব্যবস্থা রেখেছি। কিন্তু হঠাৎ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) একজন বাংলাদেশি এসে আমাকে বলল, আমি দেশে টাকা পাঠাবো। আমি নম্বরটা লিখে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুবাই ইকোনমিক ডিপার্টমেন্টের লোকজন দোকানে প্রবেশ করেন। এরপর কোনো কিছু না বলে ক্যামেরা দিয়ে বিকাশ লেখা কাগজের ছবিসহ দোকানের অন্যান্য দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন।আমি অনেক আকুতি-মিনতি করার পরও জরিমানা করে চলে যান তারা। তবে কত দিরহাম জরিমানা করেছে আমি এখনো জানি না। দুবাই ইকোনমিক ডিপার্টমেন্টে গেলে জানতে পারবো।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিকাশের পাবলিক রিলেশন বিভাগের প্রধান জাহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশের বাইরে বিকাশের কোনো কার্যক্রম নেই। কোনো এজেন্ট বা বুথ নেই। বাংলাদেশের বাইরে কারো যদি বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে তা দিয়ে কোনো কাজ করা যাবে না। সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কিছু দেশে কিছু লোক ভুয়া ব্যবসায়ী দোকান বানিয়ে অবৈধভাবে বিকাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নাম ব্যবহার করে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। এজন্য এ বিষয়গুলো আমরা পত্রিকায় দিয়েছি যেন কেউ ওই ধরনের অবৈধ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রেমিট্যান্স না পাঠায়।’তিনি আরো বলেন, দেশের বাইরে যেন বিকাশসহ কোনো মোবাইল ব্যাংকের লোগো অবৈধভাবে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট দেশে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ‘পাবলিক প্রটোকল’ নামের একটি চুক্তি আছে, যেটা দেশ টু দেশ সাইন করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ওই চুক্তিতে সাইন করেনি। তাই আমরা অবৈধ লোগো ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারছি না।জেডএ/এসএইচএস/জেআইএম

Advertisement