ছাগলের মরিচ গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে সাইদুল শেখ (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে। ঘটনায় আটক মা ও ছেলেকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।রোববার দুপুরে তাদের বরিশাল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক আটক মা-ছেলেকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।এই ঘটনার আসামীরা হলেন, মোঃ আবু সালেহ ও তার মা কুলসুম বেগম। নিহত সাইদুল শেখ ওই এলাকার মৃত কুদ্দুস শেখের ছেলে এবং ৩ সন্তানের জনক।বরিশাল জেলা কোর্টের জেনারেল রেজিস্ট্রার অফিসার (জিআরও মুলাদী) এ এস আই শিউলী বেগম জানান, শনিবার রাত ৮টায় নাজিরপুর ইউনিয়নের নাতিরহাট রাস্তার মাথার লঞ্চঘাট নামক স্থানে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মা-ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে আটক মা-ছেলেকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান শরীফ জানান, ওই এলাকার শেখ বাড়ির ছাগল কিছুদিন আগে এমদাদুল হকের মালিকানাধীন মরিচ ক্ষেতে ঢুকে মরিচ গাছ খায়। এই নিয়ে দুই পক্ষের ঝগড়া-বিবাদ হলে স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠক আহ্বান করা হয়।কিন্ত এমদাদুল হকের পারিবারের সদস্যরা ওই শালিস বৈঠকে যাননি। এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় আবারও দুই পক্ষের ঝগড়া বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে এমদাদুল হকের ছেলে কলেজছাত্র মোঃ আবু সালেহ ঘর থেকে ধারালো অস্ত্র এনে এলোপাতারি কোপাতে থাকে। এতে আহত হন শেখ বাড়ির সাইদুল শেখ (৩০), রসুল শেখ (৩৫), নুরুজ্জামান (২৮) ও মকবুল শেখ (৮০)। সাইদুল শেখ ও রসুল শেখকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজে আনার পথে সাইদুলের মৃত্যু ঘটে। বরিশাল মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রসুল শেখের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। অপর আহত মকবুল শেখ ও নুরুজ্জামান মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলাউদ্দিন জানান, ঘটনার পর রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ মূল ঘাতক ঢাকা তিতুমীর কলেজের ছাত্র মোঃ আবু সালেহ ও তার মা কুলসুম বেগমকে গ্রেফতার করেছে।নিহতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।এমজেড/পিআর
Advertisement