দেশজুড়ে

খাগড়াছড়ির অডিটরিয়ামে পেট্রলবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা অডিটরিয়ামে পেট্রলবোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিল দুর্বৃত্তরা । একই সময়ে পৌর শহরের ৩টি স্থানে ৪টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। তবে এতে কোন ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও বিজবি’র টহল জোরদার করা হয়েছে । আকস্মিকভাবে পেট্রলবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মূহুর্তেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ।ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দরা । স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রামগড় বাজারে আওয়ামীলীগের অফিস সংলগ্ন রাস্তায় ১টি, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল কাদেরের বাস ভবনের সামনে ১টি ও সিনেমা হল সংলগ্ন বাজারে ২টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।আরো জানা যায়, রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে পেট্রলবোমা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় । দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরীরা হঠাৎ আগুন জ্বলতে দেখে দৌড়ে এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফলে বড় ধরনের কোন ক্ষয়-ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা হয়।বাজারে নৈশ প্রহরী রতন দে জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভূমি অফিস সংলগ্ন ঐ অডিটেরিয়ামের বারান্দায় রক্ষিত অকেজো কাঠের আলমারিতে দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমাটি রেখে এতে অগ্নিসংযোগ করে  দ্রুত পালিয়ে যায় । দূর থেকে আগুন জ্বলতে দেখে তারা ২/৩জন দৌড়ে এসে পানি ছিটিয়ে বোমাটি নিস্ক্রিয় করেন ।খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন, রামগড় সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ইউনুস আলী মিয়া, ওসি মোঃ জোবায়েরুল হকসহ সেনা, বিজিবি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ।এদিকে আকস্মিকভাবে শহরের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও উপজেলা অডিটেরিয়ামে পেট্রল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষমতাসীন দলের আওয়ামীলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে । মিছিলে উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম ওরফে আলমগীর, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদের, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল আলম কামাল, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিশ্ব কুমার ত্রিপুরা, পৌরসভার কাউন্সিলর ফারুক শাহ, বাদশা মিয়া, আহসন উল্ল­াহসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।মিছিলকারীরা রামগড়ে এ বোমা ও ককটেল হামলার জন্য বিএনপি, জামাত জোটকে দায়ী করে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান ।রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে । ঘটনার পর পরই শহরে বিজিবি’র বিশেষ টহল জোরদার করা হয় । রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ জোবায়েরুল হক জানান, দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করতে পুলিশ তাৎক্ষণিক তৎপরতা শুরু করেছে । এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে ।   এমজেড/পিআর

Advertisement