মতামত

সবুজ ঢাকা চাই

সবুজ মহানগর গড়ার লক্ষ্যে রাজধানীর বাসা বাড়ি ও ছাদে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। এই আহ্বানে সাড়া দেয়া নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য। প্রসঙ্গক্রমে মেয়র বেশ কিছু কথা বলেছেন যা প্রণিধানযোগ্য।মেয়র বলেন, সবুজ ও বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে গাছ লাগানোর বিকল্প কিছুই নেই। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয় এবং পরিবেশ থেকে কার্বন-ড্রাই-অক্সাইড শোষণ করে নেয়। এ জন্য সবাই মিলে গাছ লাগাতে হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর বিএএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সবুজ ঢাকার গ্রিন ঢাকা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকায় রয়েছে নানামাত্রিক নাগরিক দুর্ভোগ। ধুলো-ময়লার স্তূপে টেকা দায়। চারদিকে অপরিচ্ছন্নতা ও পরিকল্পহীনতার ছাপ। এরমধ্যে বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নেয়ার অবস্থাও যেন নেই।এ কারণেই সবুজ ঢাকা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। ঢাকার দূষিত বাতাসের কারণে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষজন। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গত বছর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি জরিপ চালিয়ে ছিল। তাতে দেখা গেছে এক উদ্বেগজনক চিত্র। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পরিচালিত ওই জরিপে দেখা গেছে ২৫ শতাংশ শিশুর লাঞ্চ বেশি আক্রান্ত। এর অন্যতম কারণ অতিরিক্ত কার্বন। নগরীতে পর্যাপ্ত গাছ থাকলে তারা পরিবেশ থেকে কার্বনডাই-অক্সাইড শোষণ করে অক্সিজেন দিতো, এই শিশুরা ক্ষতিগ্রস্থ হতো না। তাই শিশু, যুবক সবাইকে গাছ লাগাতে হবে।উত্তরা এলাকায় এরই মধ্যে ৩২ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। এই উদ্যোগকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। অনুষ্ঠানে মেয়র যেমনটি বলেছেন, ‘সবাই মিলে চেষ্টা করলে প্রতিদিন এক যোগে কয়েক হাজার গাছ রোপণ করা যায়। আর মেয়র চেষ্টা করলে হয়তো ১০টা। এখানে তোমরা যতজন আছো বাড়িতে গিয়ে সবাই অন্তত একটি করে চারা রোপন করবে। তাহলে এই শহর পরিবর্তন হবেই।’ সবুজ ঢাকা ও প্রাণ-আরএফএলের যোথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কর্মসূচির আওতায় রাজধানীর ৪০টি স্কুলে সর্বমোট ১লাখ চারা রোপণ করা হবে।রাজধানী শহরে যারা বাস করছেন তাকে রক্ষার দায়িত্বও তাদের। সবাই সচেতন হয়ে যদি পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসি তাহলে সবার জন্যই মঙ্গল।সবুজ ঢাকা প্রকল্প অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী প্রকল্প। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে ঢাকাকে সবুজ নগরীতে রূপ দেয়া কোনো কঠিন কাজ হবে না। এইচআর/আরআইপি

Advertisement