হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে এখনো ট্রানজিট যাত্রীবান্ধব করতে পারেনি সরকার। এ কারণে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাবার ট্রান্সফার বা ট্রানজিট যাত্রী হারাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একমত পোষণ করে এর জন্য ট্রানজিট ভিসা জটিলতাকে দায়ী করেছে বিমান। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে বিনামূল্যে ট্রানজিট ভিসা মিললেও ঢাকায় একজন বিদেশি যাত্রীকে এর জন্য ২১ ডলার খরচ করতে হয়। আবার ট্রানজিট ভিসা না নিয়ে একজন যাত্রীর পক্ষে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকাও সম্ভব নয়।ফলে ট্রানজিট ভিসা জটিলতার কারণে বিদেশি এয়ারলাইন্সকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন যাত্রীরা। এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি বিগত তিন যুগ। বিষয়টি বুঝেও না বোঝার ভান করে আছেন সংশ্লিষ্টরা।এ বিষয়ে এভিয়েশন এক্সপার্ট ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের এমডি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টর বিশেষ করে বিমানসহ বেসরকারি আকাশ পরিবহন সংস্থাগুলোর উন্নয়নে কেবল বহরে উড়োজাহাজ বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়োজন শুল্কমুক্ত ট্রানজিট সুবিধা, যৌক্তিক মূল্যে জ্বালানি প্রাপ্তি। সেই সঙ্গে প্রয়োজন অবকাঠামো সুবিধা।এ বিষয়ে বিমানের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, প্রচলিত ধারা বাদ দিয়ে নতুন কিছু দরকার। সর্বোপরি থাকতে হবে বিমানকে এগিয়ে নেয়ার মতো কার্যকর পরিচালনা পর্ষদ ও দক্ষ জনবল। এসব সুযোগ-সুবিধার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ছাড়াও রয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি), বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতো একাধিক সংস্থা। তিনি আরও বলেন, অভিভাবক হিসেবে এসব সংস্থার সমন্বয়হীনতা ও নীতিসহায়তার অভাবে শ্রেষ্ঠত্বে পৌঁছতে পারছে না রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং এভিয়েশন সেক্টর।আরএম/এমএমজেড/এআরএস/পিআর
Advertisement