খাগড়াছড়ি জেলা সদরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও দীঘিনালা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মেরুং বাজার, সোবানপুর, হাজাছড়া, ছোট মেরুং, বাদলছড়ি, বড় মেরুং, জালবান্দা, মেরুংপাড়া, বাঁচা মেরুং ও বেতছড়িসহ অন্তত ১০টি গ্রামের এক হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে আছেন।এ সব পরিবারের লোকজন দুই দিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রিত গৃহহীন ২৫টি পরিবার এখনও নিজ বসতভিটায় ফিরতে পারেনি। এর মধ্যে মাত্র ৭০ পরিবারের ভাগ্যে জুটেছে ত্রাণ। বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ ও খাদ্য সঙ্কট। মেরুং বেইলি ব্রিজ পানির নিচে নিমজ্জিত থাকায় দীঘিনালার সঙ্গে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সড়ক যোগাযোগ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তবে চট্টগ্রামের কয়লামুখ এলাকায় ধসে যাওয়া ব্রিজটি মেরামত হওয়ায় শুক্রবার থেকে খাগড়াছড়ি-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
Advertisement