আজ সন্ধ্যায় ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশের টিম হোটেল ‘রদেভুর’ লাউঞ্জ ক্রিকেটার, কোচ ও সাংবাদিকের কলতানে মুখর। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুমিনুল হক, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলামরা সন্ধ্যা নামার আগেই ডিনারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। বলে রাখা ভালো, নিউজিল্যান্ডে সূর্য্য ডোবে বেশ দেরিতে। রাত সাড়ে ৮টারও পরে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা রাতের খাবার খেতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় যেতে প্রস্তুত হয়ে নিচে সমবেত হলেন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার থেকেই। তারপর দু-তিনজনের দলে বিভক্ত হয়ে ডিনার করতে যাওয়া। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টা থেকে প্রায় সাড়ে ৮টা অবধি হোটেল লবিতে বসেও দুজন ক্রিকেটারের দেখা মিললো। একজন অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। অন্যজন ইমরুল কায়েস। বোঝাই গেল দুজনই হোটেল কক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।এদিকে ওয়েলিংটনে বাংলাদেশের টিম হোটেলে ব্যাপক গুঞ্জন, দ্বিতীয় টেস্ট খেলা হচ্ছে না মুশফিকুর রহীমের। টিম সাউদির বাউন্সার মাথার পিছনে লাগার পর তাকে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই ওয়েলিংটন সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এক্স-রেতে কোনো ধরনের জটিলতা পাননি। যে কারণে মুশফিককে ঘণ্টা দুয়েক নিবিঢ় পর্যবেক্ষণে রাখার পর ছেড়ে দিয়েছিলেন। যদিও তাকে পরবর্তী চার সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কাজেই সে আলোকে ধরে নেয়া হচ্ছে, মুশফিক ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে খেলবেন না। গতকাল রাতে টিম হোটেলে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সাথে আলাপে ফিজিও ডিন কনওয়ে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন। আজ সন্ধ্যায় ফিজিও ডিন কনওয়ের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নিতে ছুটে যান বাংলাদেশ সাংবাদিকরা; কিন্তু তাকেও পাওয়া গেল না। তার পক্ষে বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম কথা বললেন। রাবিদও জানালেন, ‘ওয়েলিংটন হাসপাতালের চিকিৎসকরা মুশফিকুর রহীমকে চার সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।’ হোটেল রদেভুর লবিতে বসে রাবিদ জানান, ‘হ্যাঁ মুশফিককে ওয়েলিংটন হাসপাতালের চিকিৎসকরা চার সপ্তাহের বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।’প্রসঙ্গত যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ডে কোনোভাবে মাথায় আঘাত পাওয়া রোগীদের অন্তত চার সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এটা এই দুই দেশের চিকিৎসা শাস্ত্রের নিয়ম বা প্রটোকল। আঘাত গুরুতর হোক কিংবা না হোক চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হলে তারা রোগীর মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করে পরের চার সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মুশফিককেও তাই দেয়া হয়েছে। এটুকু জানিয়ে থামেন রাবিদ। এখন বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট সে প্রটোকল মেনে মুশফিককে না খেলিয়ে বিশ্রাম দেবেন না কি শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলানো হবে- এ বিষয়ে রাবিদ তেমন কিছু জানাতে পারেননি। তবে এমনিতে মুশফিক প্রায় পুরোপুুরি সুস্থ। মাথার আঘাত জনিত কোন সমস্যা নেই। বরং তার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ব্যথাই ভোগাচ্ছে বেশি। সেই ব্যথা এখনো কমেনি। তাই ধরেই নেয়া যায়, অধিনায়কের ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট খেলার সম্ভাবনা খুব কম। আর টিম ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ড ওয়েলিংটন হাসপাতালে প্রটোকল না মেনে তাকে খেলালেও মুশফিকের কিপিং করার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়। সে ক্ষেত্রে ক্রাইস্টচার্চে অভিষেক হতে পারে আরেক উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের।এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement