যেখান থেকে শুরু নিউজিল্যান্ড সফর, ঘুরে আবার সেখানেই ফিরে আসা। গত ২৬ ডিসেম্বর এই ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলে ওভালে হয়েছিল প্রথম ওয়ানডে। তারও আগে অস্ট্রেলিয়ায় ৯/১০ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষে সরাসরি এই শহরেই প্রথম এসেছিল মাশরাফির দল।তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েয়েন্টি সিরিজ ও প্রথম টেস্ট শেষে খেলতে নেলসন, নেপিয়ার, মাউন্ট মঙ্গানুই এবং ওয়েলিংটন হয়ে আবার ক্রাইস্টচার্চে ফিরে আসা। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে এই ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালেই হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সে ম্যাচ খেলতে আজ দুপুরেই ক্রাইস্টচার্চ এসে পৌঁছেছে মুশফিক বাহিনী। স্থানীয় সময় বেলা সোয়া একটার দিকে জাতীয় দল ক্রাইস্টচার্চ পৌঁছায়। প্রথম টেস্ট শুরুর আগে বেসিন রিজার্ভের সবুজ ঘাসের উইকেট কতই না হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল। এমন সবুজ উইকেটে কী করবেন টাইগাররা? তা নিয়েও তৈরি হয়েছিল নানা সংশয়-সন্দেহ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিচে আর তত সবুজ ঘাস ছিল না। বেশির ভাগই ছেটে ফেলা হয়। তারপরও যতটা ছিল, সেটাও কম না। বাংলাদেশের কোনো উইকেটে অত ঘাস থাকে না। এরকম কচি সবুজ ঘাসের উইকেট আর দমকা বাতাস ও কনকনে ঠাণ্ডা- সব মিলে প্রতিকূলতা ছিল যথেষ্ঠ। কিন্তু তামিম, মুমিনুল, সাকিব, মুশফিক ও সাব্বিররা তা বেশ ভালোই মোকাবিলা করেছিলেন। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম ওয়েলিংটনে অনেক সম্ভাবনার প্রদীপ জ্বেলেছিলেন। তাদের রেকর্ড ৩৫৯ রানের পার্টনারশিপে ৫৯৫ রানের হিমালয় সমান স্কোর গড়ে ওঠে। কিন্তু ঐ রান পাহাড় গড়াই সার। শেষ পর্যন্ত মাথা আর উঁচু থাকেনি। চতুর্থ দিন শেষ ঘণ্টা আর গতকাল শেষ দিন এক সেশন- এই মোট দুই সেশনের আলগা ও দায়িত্বহীন ব্যাটিং এবং অধিনায়ক মুশফিকের মাথার ইনজুরি আর ইমরুিল কায়েসের উরুতে টান পড়া- সব মিলে পরাজয় পেছন থেকে এসে কালিমা লেপে দেয়।মোদ্দাকথা, ব্যক্তিগত আর দলগত রেকর্ড গড়ে প্রথম সাড়ে তিন দিন নিউজিল্যান্ডের চেয়ে মজবুত অবস্থানে থেকেও শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়া। শুধু হারাই নয়। রেকর্ড গড়ে হার। টেস্ট ক্রিকেটের সুদীর্ঘ ১৪০ বছরের ইতিহাসে ১২২ বছর পর কোনো দল প্রথম ইনিংসে ৬০০ রানের দোরগোড়ায় (৫৯৫) পৌঁছেও ম্যাচ হারলো। শুনতে কানে লাগবে। কিন্তু নিষ্ঠুর সত্য এই যে, ওই সম্ভাবনার ম্যাচের করুণ পরিণতি অবশ্যই পুরো দলের গায়ে ঘাঁয়ের মতো লেগে আছে। তার সাথে ইনজুরি সমস্যা তো আছেই। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে ব্যথা, ইমরুল কায়েসের উরুর ইনজুরির সাথে মমিনুলের বুকের পাজরে ব্যথাও চিন্তার কারণ। এই সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে ঘুরে দাঁড়ানো সহজ কাজ না। দেখা যাক, ক্রাইস্টচার্চে সে কঠিন কাজটা করতে পারে কিনা মুশফিকের দল? এনইউ/এমএস
Advertisement