রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে তিনদিনের সফরে তিন দেশের রাষ্ট্রদূত এখন কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। সোমবার তারা কক্সবাজারের কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান।তিন দেশের রাষ্ট্রদূতরা হলেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রিসেল, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হ্যানে ফুগল এস্কায়ের ও নরওয়ে’র রাষ্ট্রদূত মেরেট লূনডেমো। গতকাল রোববার কক্সবাজার পৌঁছেন তারা। তিনদিন কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবি, এনজিও প্রতিনিধি ছাড়াও উখিয়ার কুতুপালং এবং টেকনাফে নয়াপাড়া নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শুরু করেছেন। আগামী ১৭ জানুয়ারি বিকেলে তিন দেশের রাষ্ট্রদূতরা কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা রয়েছে। তারা প্রথম দিন, জেলা প্রশাসন ও ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) দায়িত্বশীলদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর ১৬ জানুয়ারি সোমবার সকালে টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী শিবির, লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবির ও সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের বর্বরতার শিকার হয়ে আসা নতুন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। বিকেলে এ প্রতিনিধি দল জাদিমোড়া রোহিঙ্গাপল্লীসহ নতুন রোহিঙ্গা বস্তি পরিদর্শন করেন। আগামীকাল (১৭ জানুয়ারি) মঙ্গলবার সকালে বালুখালী ঘুমধুম বিজিবি ক্যাম্প ও কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ও নতুন বস্তি পরিদর্শনের কথা রয়েছে তাদের। লেদা রোহিঙ্গা বস্তির সভাপতি ডা. দুদু মিয়া বলেন, রাষ্ট্রদূতরা ক্যাম্পের বর্তমান অবস্থার পাশাপাশি মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সময়ের বর্বরতার কথা নির্যাতিতদের কাছ থেকে শুনেন। নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জোবাইর জানান সময় স্বল্পতার কারণে রাষ্ট্রদূতরা তাদের কমিটির সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকটি বাতিল করেছেন। তবে ক্যাম্পের বিভিন্ন এনজিও কার্যক্রম পরিদর্শনের পাশাপাশি কয়েকজন নতুন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। এ সময় নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প ইনচার্জ ও সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা কক্সবাজার অফিস প্রধান সংযুক্তা সাহানী, ও ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।সায়ীদ আলমগীর/এএম/পিআর
Advertisement