আশা, নিরাশা, হতাশা- সবই ছিল ওয়েলিংটন টেস্টে। ঘটেছিল কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাও। চোট নামক ঘাতকের হানায় জর্জড়িত দুই শিবির। তার ওপর বাউন্সারের আঘাতে যেতে হয়েছে হাসপাতালেও। সেখান থেকে আবার মাঠে। দলের প্রয়োজনে হাল ধরা।দুটি বড়সড় বিশ্ব রেকর্ডও হয়েছে এই ম্যাচে। দুটি রেকর্ডই অবশ্য জমা হয়েছে বাংলাদেশের নামের পাশে। এক. বিকল্প উইকেটরক্ষক হিসেবে এক ইনিংসে পাঁচটি ক্যাচ নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ইমরুল কায়েস। মুশফিকুর রহীমের পরিবর্তে উইকেটের পেছনে দাঁড়ান তিনি। দুই. প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ রানের পুঁজি নিয়েও ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারের মুখ দেখলো বাংলাদেশ। এর আগে যা কখনো ঘটেনি টেস্ট ক্রিকেটে! সেই লজ্জাই নিজেদের সঙ্গী করলেন মুশফিকুর রহীম, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসানরা।হাই-স্কোরিং টেস্ট ম্যাচটিতে যেখানে ড্র ছাড়া অন্য কোনো ফলই হয়তো ভাবেননি অনেকে। কিন্তু সবার ধারণাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে দিয়ে জয়-পরাজয়েই নিষ্পত্তি হলো ম্যাচটি। নিউজিল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ দল হেরে গেছে ৭ উইকেটে। যা চমকে দিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকে। এটাও কি সম্ভব? বড় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে তো সবই সম্ভব হতে চলেছে। এসবের সংমিশ্রণে ওয়েলিংটন টেস্ট ম্যাচটা ছিল রোমাঞ্চকর। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন মনে করেন এমনটাই।কিউই অধিনায়কের ব্যাখ্যা, ‘প্রথম ইনিংসে দু`দলের ইনিংসই ছিল দুর্দান্ত। ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে রান ছিল। ব্যাটিংবান্ধব উইকেট পেয়ে তা কাজে লাগিয়েছে দু’দল। বেসিন রিজার্ভে পেস ও বাউন্স কাজ করেছে। দু`দলই তাদের সেরাটা ঢেলে দিয়েছে। যে কারণে দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে হয়েছে। সব মিলে এই টেস্টটা ছিল রোমাঞ্চকর।’এনইউ/আরআইপি
Advertisement