প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ রান, তারপরও ৭ উইকেটে হার বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টটা তাই হতাশার আরেক নাম হয়েই থাকলো টাইগারদের জন্য। যা কিনা একটা লজ্জার রেকর্ডের পাশেও দাঁড় করিয়ে দিল বাংলাদেশকে। টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ইনিংসে এত বড় স্কোর করে যে আগে হারেনি অন্য কোনো দল!ওয়েলিংটন টেস্টের শেষ দিনটা শুধু পরাজয়ের দুঃস্বপ্ন নয়, আরও এক কারণে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য ছিল বাজে অভিজ্ঞতা। কিউই পেসার টিম সাউদির বাউন্সারের মাথায় আঘাত পেয়ে মুশফিকুর রহীমকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল (আগের দিন আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন ওপেনার ইমরুল কায়েস)। যে দৃশ্য সত্যিই ছিল বুক কেঁপে ওঠার মতোই।হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি থেকে ফেরা মুশফিক প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানের ইনিংস খেলার পথে চোট পেয়েছিলেন আঙ্গুলে। যে কারণে কিপিং করতে পারেননি, নামতে পারেননি ফিল্ডিংয়েও। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিলেন শুধু দলের প্রয়োজনে। নিউজিল্যান্ডের পেসাররা মুশফিকের সেই দুর্বলতাকেই পুঁজি করতে চেয়েছে। বারবার বাউন্সার আর শর্ট বলে মুশফিককে বিব্রত করতে চেয়েছেন তারা, যেন চোটগ্রস্ত মুশফিক তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান। বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক তবু লড়াইটা করছিলেন দারুণভাবেই। সব এলোমেলো হয়ে গেল আসলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ৪৩তম ওভারে, যখন টিম সাউদির বল এসে আঘাত করলো মুশফিকের হ্যালমেটের পেছনের অংশে। মুশফিককে সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে ম্যাচ চলার সময়ই তিনি ড্রেসিংরুমে ফেরেন। পরবর্তীতে ব্যাট করতে না পারলেও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসেছেন টাইগার অধিনায়ক।ম্যাচ শেষে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন জানান, মুশফিককে পুরো সুস্থ দেখে আমাদের খুব ভালো লাগছে। বাউন্সারকে ক্রিকেটের ‘কৌশল’ উল্লেখ করে উইলিয়ামসন বলেন, ‘খেলোয়াড়কে পরাস্ত করার জন্য এটি একটি কৌশল। আধুনিক ক্রিকেট এগিয়ে চলেছে এবং মানও অনেক বেড়েছে। মুশফিককে সাক্ষাৎকার দিতে দেখে ভালো লাগছে। তাকে এখন পুরো সুস্থ দেখাচ্ছে; যা আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই সুখকর।’এনইউ/আরআইপি
Advertisement