চাকরির বয়স দুই বছর হলেই সরকারি শিক্ষকরা বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। একই সঙ্গে একজন শিক্ষক বছরে দুবার বদলি আবেদন করতে পারবেন। এমন আরও কিছু বিষয় যুক্ত করে সরকারি কলেজের শিক্ষক বদলি ও পদায়নের নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।জারিকৃত নীতিমালা অনুযায়ী, প্রভাষকরা প্রথম দফায় জানুয়ারি মাসে ও দ্বিতীয় দফায় জুলাই মাসে বদলির আবেদন করতে পারবেন। সহকারী অধ্যাপকরা প্রথম দফায় মার্চে ও দ্বিতীয় দফায় সেপ্টেম্বরে, সহযোগী অধ্যাপকরা প্রথম দফায় মে মাসে ও দ্বিতীয় দফায় অক্টোবরে এবং অধ্যাপকরা প্রথম দফায় জুনে ও দ্বিতীয় দফায় ডিসেম্বরে বদলির আবেদন করতে পারবেন।নির্ধারিত মাসের ১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে অনুমোদিত ফরমে ই-মেইলে আবেদন জমা দিতে হবে। আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। তবে ই-মেইল ছাড়া অন্য কোনোভাবে দেয়া আবেদন বিবেচ্য হবে না।মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বদলিতে অতিরিক্ত তদবির সামলাতে বদলি ও পদায়নের এ নীতিমালা জারি করা হয়েছে। সারাদেশে ৩২৭টি সরকারি কলেজ রয়েছে। এসব কলেজে ১৪ হাজারের মতো শিক্ষক আছেন। বদলি নিয়ে সারা বছরই ব্যস্ত থাকতে হয় মন্ত্রণালয়ের সচিব-অতিরিক্ত সচিবসহ সরকারি কলেজ শাখার কর্মকর্তাদের। আবার লেনদেনসহ নানা অভিযোগও রয়েছে বদলিতে।নতুন নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে যাওয়ার এক বছর আগে কোনো শিক্ষক ও শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা তার সুবিধামতো স্থানে বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই আবেদন বিবেচনা করা হবে। স্বামী ও স্ত্রী দু’জনই চাকরিজীবী হলে স্বামী বা স্ত্রীর নিকটতম কর্মস্থলে বদলি বা পদায়নের জন্য আবেদন করা যাবে। তবে এ ধরনের কর্মকর্তার সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিষয়টি অধিকার হিসেবে গণ্য করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সুবিধা ও জনগণের সেবাপ্রাপ্তির বিষয় একসঙ্গে বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।অন্যদিকে ১০ জানুয়ারি জারি করা অপর এক আদেশে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপকদের বদলির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের হাতে ঢাকার বাইরের কলেজগুলোতে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক বদলির ক্ষমতা ছিল।বর্তমানেও সাধারণত চাকরি দুই বছর না হলে ঢাকায় বদলি করা হয় না কলেজ শিক্ষকদের। এরপরও অনেক সময় এটি মানা হয় না। এখন কাগুজে নীতিমালা করে বদলিতে কড়াকড়ি করলো সরকার।এমএইচএম/আরএস/জেআইএম
Advertisement