ওয়েলিংটন টেস্টের শেষ দিনের শুরুতে বাংলাদেশের ওপর মরণ কামড় দেবে নিউজিল্যান্ড- এটা আগে থেকেই জানা কথা। শঙ্কাটাই সত্যি হলো। মরণ কামড় এতটাই তীব্র ছিল যে, মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে যেতে হলো মুশফিককে। বাংলাদেশকে অলআউট হতে হলো ১৬০ রানে। শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য মাত্র ২১৭ রানের লক্ষ্যই পেলো স্বাগতিকরা। যে দল প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করলো, তারাই কি না দ্বিতীয় ইনিংসে একেবারে বিধ্বস্ত একটি দল।দিনের শুরুতেই যাদের ওপর সবচেয়ে বেশি ভরসা করার মত ছিল, সেই সাকিব এবং মুমিনুল- তারা কিছুই করতে পারলেন না। আউট হয়ে গেলেন দ্রুত। প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান সাকিব আল হাসান তো গোল্ডেন ডাক মেরেই আউট হলেন। মুশফিককে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হলো।সুতরাং, বাকি ছিলেন প্রতিষ্ঠিতদের মধ্যে কেবল সাব্বির। তিনি নিজের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করলেন। তুলে নিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরিও। টেল এন্ডারদের সাথে নিয়ে বাংলাদেশের স্কোরকে চেয়েছিলেন সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছাতে। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি করার পরই তার মাথায় ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি মানসিকতা চলে আসলো যে, সব বলেই খেলতে হবে। ছেড়ে দেয়া যাবে না কোনো বল। সুতরাং, ৫০ করেই আউট হয়ে গেলেন তিনি।তবুও দলের প্রয়োজনে শেষ দিকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠে নামলেন ইমরুল কায়েস। তিনি চেষ্টা করলেন টিকে থাকার; কিন্তু টিকে থাকলেও অপরপ্রান্তে যে কেউ আর অবশিষ্ঠ নেই। সুতরাং, ১৬০ রানেই থেমে গেলো বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে নিউজিল্যান্ডের সামনে লিড দাঁড়ালো ২১৬ রানের। চতুর্থ দিন বিকেলেই চরম বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। তামিম-মাহমুদউল্লাহর বাজেভাবে আউট, মিরাজের রানআউটই ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় বাংলাদেশকে। আজ সকালে মাঠে নেমেই কোন রান না করেই আউট হয়ে যান সাকিব আল হাসান। ১০ রান নিয়ে নামা মুমিনুল আউট হলেন ২৩ রান করে। সাব্বির রহমানকে নামানো মুশফিকের আগে। তবে মুশফিক মাঠে নামার পর একের পর এক বাউন্সার সামলাতে গিয়ে টিম সাউদির বলে মাথায় আঘাত পেলেন। অ্যাম্বুলেন্সে গেলেন সোজা হাসপাতালে।এরপর তাসকিন, শুভাশিষকে নিয়ে হাফ সেহঞ্চুরি করলেন সাব্বির। হাফ সেঞ্চুরি করার পর আর টিকতে পারলেন না। নিজের ভুলে উইকেট দিলেন। শেষ দিকে ইমরুল মাঠে নামলেও অপরপ্রান্তে আর উইকেট না থাকায় ৩৬ রান নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো। কিউইদের মধ্যে ট্রেন্ট বোল্ট ৩টি, ২টি করে উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার, নেইল ওয়েগনার, ১টি নেন টিম সাউদি।
Advertisement
আইএইচএস