খেলাধুলা

মুশফিকের দিকে তাকিয়ে মিনহাজুল আবেদীন

প্রথম ইনিংসে ৫৬ রানের লিড নিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল তারা। তবে ছন্দপতনের শুরুটা হয় ইমরুলের ইনজুরিতে। ব্যক্তিগত ২৪ রানে দ্রুত রান নিতে গিতে বাঁ পায়ের উরুতে চোট লাগে তার। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসায় কাজ না হলে হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে।এরপর দলীয় ৫০ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের। বলে লেন্থ ঠিকভাবে বুঝতে না পারায় বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম (২৫)। সান্টনারের বলে লেট কাট করতে গিয়েছিলেন তিনি। তামিমের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মাহমুদউল্লাহও (৫)। শর্ট বলে জুজু কাটাতে না পারা এ ব্যাটসম্যান আরও একবার ওয়াগনারের বলে উইকেটরক্ষক ওয়াটলিংয়ের হাতে ধরা পড়েন।এরপর স্কোরবোর্ডে আর ৩ রান যোগ করতেই ফিরে যান টপ অর্ডারে সুযোগ পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ (১)। দুই রান নিতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউটে কাটা পড়লে দলের বিপদ আরও বেড়ে যায়। এরপরই দিনের খেলার ইতি টানেন আম্পায়াররা। ফলে ৩ উইকেটে ৬৬ রান নিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। ১০ রান অপরাজিত আছেন মুমিনুল হক।এ অবস্থায় মুশফিকের দিকে তাকিয়ে আছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। ঠিক শঙ্কিত না হলেও তার চোখে মুখে খানিক চিন্তার রেখে রেখেই মিনহাজুলের ব্যাখ্যা, `দারুণ রমরমা সময় কাটছিল। আমরা নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের বিরুদ্ধে ৫৬ রানের লিডও পেয়ে গিয়েছিলাম। আশা করেছিলাম, শেষ দিনটা আমরা খেলবো একদম চিন্তা ও চাপমুক্ত অবস্থায়। কোনই টেনশন থাকবে না। আমাদের ব্যাটসম্যানরা দ্বিতীয় ইনিংসেও একদম টেনশনমুক্ত হয়ে ফ্রি ব্যাটিং করবে। কিন্তু দূর্ভাগ্য। তা আর হলো না। ইমরুল কায়েসের ইনজুরি আর মেহেদী হাসান মিরাজের রান আউট একটু হলেও চাপে ফেলে দিয়েছে দলকে। তবে আমার বিশ্বাস, এ চাপ কাটিয়ে উঠতে পারবো আমরা। একটি বড় জুুটি গড়ে উঠলেই আর কোন চিন্তা থাকবে না। মুশফিক ব্যাট করতে পারলে আশা করি আর কোন চিন্তা থাকবে না।`  এআরবি/এমআর/এমএস

Advertisement