দেশজুড়ে

জয়পুরহাটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ১২৪, শিক্ষক ১

জয়পুরহাট সদর উপজেলার  কল্যাণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।  তিন মাস ধরে এ অবস্থা চলতে থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে এ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।  জানা গেছে, সীমান্তবর্তী এলাকার কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার কথা চিন্তা করে একই গ্রামের মরহুম বয়েন উদ্দিন, আয়েন উদ্দিন ও শুকুর আলী নামের তিনজন শিক্ষানুরাগী ১৯৫৭ সালে ৩৯ শতক জায়গার উপর স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি সদর উপজেলার শেষ প্রান্তে হওয়ায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার অজুহাতে জাতীয়করণের পর থেকেই স্কুলটি অবহেলিত থাকে। স্কুলের পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী ন্যূনতম চার জন শিক্ষকের পদ থাকলেও প্রতিষ্ঠানটিতে কখনো দুই কখনোবা একজন শিক্ষককে দিয়েই পাঁচটি ক্লাসে পাঠদান চলছে। এভাবে স্কুলটি চলার এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারিতে নুরুন নাহার নামে একজন শিক্ষক অবসরে যান। এরপর থেকেই স্কুলটি চলছে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে। ইতোপূর্বে ১৯৭৮ সালের ১৬ জুলাই মাসে নুরুন নাহার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর ২০০৫ সালে প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান অবসরে যান। ওই সময় থেকে তিনিই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেন। ইতোমধ্যে ২০০৯ সালে রেজাউল করিম নামে আরেকজন শিক্ষককে ওই প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসাবে ডেপুটেশনে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ২০১০ সালে তিনি পূর্ণ নিয়োগ লাভ করেন। একই বছর প্রধান শিক্ষক হিসাবে নঈমউদ্দিন  যোগ দিলেও তিনি ২০১২ সালে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বদলী হয়ে চলে যান। ফলে সব সময়ই প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষক স্বল্পতা থেকেই যায়। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে দিন দিন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও কমতে থাকে।  বর্তমানে স্কুলটিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১২৪ জন, এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে ১৮ জন, প্রথম শ্রেনণতে ২৩, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২৮, তৃতীয় শ্রেণিতে ২৬, চতুর্থ শ্রেণিতে ২৭ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ২২ জন শিক্ষার্থী  রয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলামের পিতা  এরশাদুল ইসলামসহ অনেক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, প্রথম থেকেই স্কুলে শিক্ষক কম থাকায় লেখাপড়ায় অনেক অসুবিধা হচ্ছে।  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাইয়ার সুলতানা জানান, নিয়োগ বন্ধ থাকায় আমরা শিক্ষক দিতে পারছি না তবে এ সমস্যা অচিরেই দূর হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বদরুজ্জেহা বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এসএইচএ/এমএস

Advertisement