দেশজুড়ে

বিপদসীমার উপরে তিস্তার পানি

ভারিবর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের সবকটি (৪৪) গেট খুলে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। পানি বৃদ্ধির কারণে নীলফামারীর জলঢাকা ও ডিমলা তিস্তা নদী সংলগ্ন ১৫ গ্রামের ঘড়বাড়ি প্লাবিত হয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, অব্যাহত ভারিবর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে ডালিয়ায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার সকাল ৯টায় ২৩ সেন্টিমিটার ও বিকেল ৩টায় ২৭ সেন্টিমিন্টার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, ‘ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার বিকেলে ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে রাখা হয়েছে।’এদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তা নদী সংলগ্ন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশাচাপানী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বাইশপুকুর গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় ৪০টি পরিবার, রাস্তাঘাট, ফসলী জমি কোমর পানিতে তলিয়ে রয়েছে।এ ছাড়া ডিমলার পূর্বছাতনাই, খড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি ও গয়াবাড়ি এবং জলঢাকা উপজেলার শৌলমারি ও ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের বেশ কটি গ্রাম হাঁটু পানিতে তলিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।ডিমলা উপজেলার টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম জানান, ভারীবর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। ফলে টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর ও পৃর্ব খড়িবাড়ী গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।খালিশাচাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল হক জানান, রাত থেকেই তিস্তা নদী সংলগ্ন আমার ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশপুকুর গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

Advertisement