ধর্ষণ একটি মারাত্মক অপরাধের নাম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর শিকার হন নারীরা। তবে উপযুক্ত বিচার খুব কম জনই পেয়ে থাকেন। কখনো কখনো ধর্ষিতারা বিচারের অপেক্ষায় থাকেন না, কিছু সাজা নিজেরাই দিয়ে থাকেন। এমন কিছু অদ্ভুত প্রতিশোধের সত্য ঘটনা জেনে নিন আজ।দাওয়াত করে শাস্তি২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এক ধর্ষিতা তার ধর্ষক বন্ধুকে দাওয়াত করে এনে কফিতে মাদকদ্রব্য মিশিয়ে মাতাল করে। এরপর মহিলা তার ১৮ বছরের ছেলেকে দিয়ে ওই বন্ধুর হাত-পা বেঁধে বেসবল ব্যাট দিয়ে ইচ্ছেমতো পেটায়। যখন ওই ধর্ষককে উদ্ধার করা হয়; তখন সে নিজের পায়ে হাঁটতে পারছিল না। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, সে ওই লোকের পুরুষাঙ্গে আলপিন ও কালি দিয়ে লিখে দেয় ‘rapist’ (ধর্ষক)। পরে অবশ্য মহিলার ছয় বছরের জেল হয়। আদালত সে ট্যাটুর ব্যাপারে বলেছিল, ‘If I did it, I did it’. এর মানে কী এখনো তা পরিষ্কার নয়।সৈন্যের মাথা দাবি১৮৯ সালে একটি গ্রামে রোমান সৈন্য হানা দেয়। যুদ্ধে গ্রামবাসী হেরে যায়। এক মহিলাকে রোমান সৈন্যরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। একজন রোমান যোদ্ধা ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে। কিন্তু ধর্ষণ করার পর যোদ্ধা অপরাধ বোধ করে। সে ধর্ষিতার কাছে ক্ষমা চায়। তাকে তার গ্রামে ফিরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু মহিলা সেই সৈন্যের মাথা দাবি করে। তারা সেই সৈন্যের মাথা কেটে তাকে দেয়। মহিলা সেই মাথা বহন করে নিয়ে যায় তার স্বামীকে দেখানোর জন্য। বাড়ি ফিরে মহিলা তার স্বামীকে লক্ষ্য করে বলে, ‘Only one man who has lain with me shall remain alive.’ তার স্বামী তার দিকে ফিরে মাথা নোয়ায় ও মুচকি হাসি দেয়।ধর্ষণের প্রতিবাদে যুদ্ধএটি ভিয়েতনামি দুই বোনের কাহিনি। এই দুই বোন ভিয়েতনামের এক প্রতাপশালী লর্ডের মেয়ে। চীনারা যখন ভিয়েতনাম দখল করে তখন এক বোন ধর্ষিত হন এবং তার স্বামী নিহত হন। প্রতিশোধ নিতে দুই বোন ৮০ হাজার গৃহহীন মানুষ নিয়ে সৈন্যদল গঠন করে। তাদের সৈন্যদলে ৩৮ জন মহিলা জেনারেল ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের পরাজিত হতে হয়। অনেকেই নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে আত্মহত্যা করেন। বাকিরা যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুবরণ করেন। এই বাহিনীর এক লিডার যুদ্ধের সময় গর্ভবতী ছিলেন। যখন তার বাচ্চা প্রসবের সময় হয় তখন তিনি বলেছিলেন, ‘oh, fudge it. I got this shit’। যুদ্ধক্ষেত্রেই বাচ্চাটির জন্ম হয়। বাচ্চাটিকে কাঁধে ঝুলিয়ে তিনি আবার যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। কাটা মাথা হাতে২০০৮ সালে ভারতের একটি গ্রামের বাজারে একটি মেয়ে আসে। যার সারা গায়ে রক্ত লেগে ছিল। তার এক হাতে ছিল একটা মানুষের কাটা মাথা। কারণ হিসেবে জানা গেল, মেয়েটি যখন গ্রামের মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটছিল; তখন এই অমানুষটি পিছন থেকে তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। যেমন করেই হোক মেয়েটি ঘাস কাটার কাচিটি হাতের কাছে পেয়ে যায়। আর তা দিয়েই মাথা কেটে আলাদা করে নেয় মেয়েটি। এতে বাজারে আসা প্রত্যেকটি মানুষ সেদিন খুবই ভয় পেয়েছিল।প্রতারণার সাজা২০১২ সালে এক তুর্কী নারী একটি কাটা মাথা শহরের চৌরাস্তায় ছুড়ে মারে। এরপর তিনি পুলিশকে বলেন যে, এই অমানুষটি তার সঙ্গে কয়েক মাস ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। কিন্তু সে গর্ভবতী হওয়ায় তাকে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য চাপ দেয়। এমনকি গর্ভপাত না করলে তার নগ্ন ছবি বাবা-মার কাছে পাঠিয়ে দেবে। তাই তিনি তার এবং তার সন্তানের সম্মান রক্ষার্থে অমানুষটিকে হত্যা করেছেন। মাথা কাটার আগে সে এই অমানুষকে ১০ বার ছুরিকাঘাত করে। ধর্ষকের গায়ে আগুনসোরিয়ানো নামের এক লোক ঘটনার সাত বছর আগে ১৩ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। একদিন হঠাৎ সোরিয়ানোর সঙ্গে ওই মেয়ের মায়ের দেখা হয়। সোরিয়ানো তাকে দেখে চিৎকার করে প্রশ্ন করে, ‘how’s your daughter?’ এরপর মা ওই ব্যক্তির পিছু নেয়। যখন সারিয়ানো একটি বারে ঢোকে; তখন মা সোরিয়ানোর গায়ে গ্যাসোলিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১১ দিন পর সোরিয়ানো মারা যায়। এ ঘটনায় মাকে পুলিশ গ্রেফতার করে, কিন্তু ব্যাপক জনসমর্থনের কারণে আদালত তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।এসইউ/আরআইপি
Advertisement