অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে স্বপ্ন পুরণ হল। টেস্ট খেলার স্বপ্ন ছিল তার বহুদিনের। ফিটনেস ঠিক থাকলে আর ইনজুরি বার বার আঘান না হানলে হয়তো আরও আগে টেস্ট ক্যাপ মাথায় পরা হয়ে যেতো তাসকিন আহমেদের। রঙিন জার্সির পর এবার জাতীয় দলের সাদা জার্সিতেও স্বপ্নের অভিষেক হয়েছে প্রতিভাবান এই পেসারের। অভিষেকের পর প্রথম উইকেটের জন্যও প্রতীক্ষা করতে হয়নি খুব বেশি। কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম উইকেটের দেখা পেলেন তিনি। ২০১৪ সালে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর ২৩টি ওয়ানডে ও ১৪টি টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন এই পেসার। ওয়ানডেতে ৩৫টি এবং টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৯ উইকেট। অবেশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো তার এবং টেস্ট দলের একজন হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে গেলেন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। কিন্তু কঠিন সত্য হলো, বেসিন রিজার্ভের পিচ যতই ফাস্ট বোলার ফ্রেন্ডলি হোক না কেন, তাসকিন কি সেখানে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন? মাত্র ১০টা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। এত কম ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে টেস্ট অভিষেক, তাও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে। এত স্বল্প অভিজ্ঞতা নিয়ে তাসকিন কতটা কুলিয়ে উঠতে পারবেন? এই প্রশ্ন ছিল সবার মাঝেই। অবশেষে আসল সে মাহেন্দ্রক্ষণ। বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ার্মআপ, স্ট্রেচিং, হালকা ফিল্ডিং-ক্যাচিং এবং স্পট বোলিংয়ের পর কোর্টনি ওয়ালসের হাত থেকে টেস্ট ক্যাপ পরলেন তাসকিন। বৃহস্পতিবার অভিষেক হলেও প্রথম হাত ঘোরানোর সুযোগ পেলেন ম্যাচের তৃতীয় দিন এসে। আজ টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম ওভারেই তাসকিন পেতে পারতেন উইকেটের স্বাদ; কিন্তু সাকিব ক্যাচ মিস করায় প্রথম ওভারে আর উইকেটের দেখা পেল না ডানহাতি এ পেসার। তবে অভিষেক উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় নি তাকে। নিজের অষ্টম ওভারে এসে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের উইকেট তুলে নিয়ে টেস্টে উইকেটের খাতা খুললেন তাসকিন। তার বলে ইমরুল কায়েসের হাতে নিজের উইকেট সঁপে দেন উইলিয়ামসন। ৫৫ বলে ৫৩ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন তিনি। চার মেরেছেন ৮টি। আইএইচএস/পিআর
Advertisement