সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার প্রায় চার বছর হতে চলছে। চার বছরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪৪ বার সময় পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে আর কত সময় লাগবে তাও জানে না তদন্ত সংস্থা র্যাব।এই চার বছরেও মামলাটির কোনো কূল-কিনারা না হওয়ায় হতাশায় ভুগছে তাদের পরিবার। পরিবারের প্রশ্ন, সরকারের কাছে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে আর কত সময় লাগবে। বিচার পাওয়ার আশায় আর কতদিন পথ চেয়ে থাকতে হবে। আমাদের পরিবার কি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার পাবে না?মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব সদর দফতরের সহকারী পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহম্মেদ জাগো নিউজকে বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলাটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত করছি। মামলাটির তদন্ত কবে শেষ হবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছুই বলা যাচ্ছে না।মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, মামলাটির চার বছরেও কোনো কূল-কিনারা না হওয়ায় হতাশায় রয়েছে আমাদের পরিবার।আমরা বিচারের আশায় পথ চেয়ে আছি। সরকারের কাছে আমাদের পরিবারের প্রশ্ন, তদন্ত শেষ করতে আর কত সময় লাগবে। আমরা কি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার পাব না?তিনি আরও বলেন, সাগর-রুনি হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে আর কত সময় লাগবে এ বিষয়ে র্যাব আমাদের কিছুই জানাচ্ছে না। আমরা চাই এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার।মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। খুন হওয়ার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যা বের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪৪টি ধার্য তারিখ পার হয়েছে।মামলায় আটজনকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে মিন্টু, কামরুল হাসান, বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম আবু সাঈদ ও এনাম আহম্মেদ কারাগারে। পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। জেএ/ওআর/এমএস
Advertisement