প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে একটি এখন বাংলাদেশ। দেশের অর্থনীতি এখন প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকারও বেশি, যা জিডিপির ভিত্তিতে বিশ্বে ৪৪তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে ৩২তম। সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধারাবাহিকভাবে ৬.৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে পুরো বিশ্বকে আমরা তাক লাগিয়ে দিয়েছি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭.১১%। আগামী বছরের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭.৪%। অর্থনীতি ও সামাজিক সূচকের অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা দক্ষিণ এশিয়া এবং নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছি। প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৯তম ও ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের মাথাপিছু আয় ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১ হাজার ৪৬৬ ডলার হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ছিল ৪১.৫ শতাংশ। এখন তা হ্রাস পেয়ে হয়েছে ২২.৪% শতাংশ। অতি দরিদ্রের হার ২৪.২৩% থেকে ১২শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৫/১৬ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ৭/৮ শতাংশে নামিয়ে আনা। শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যেমন বেড়েছে, অন্যদিকে মুল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে থাকায় মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৯ সালে মূল্যস্ফীতি ছিল ডাবল ডিজিটে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৫.০৩ শতাংশ। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে রফতানি আয় ছিল মাত্র ১০.৫২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪.২৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য জাতীয় রফতানি নীতি ঘোষণা করেছি এবং বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি আজ শক্তভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ৩.৫ বিলিয়ন ডলার, যা বর্তমানে ৩২ বিলিয়ন ডলারেরও ওপর । বিগত আট বছরে দেশ-বিদেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। গত বছর রেকর্ড ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৩১ কর্মী বিদেশে গেছেন। ৫ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। এফএইচএস/এএইচ/এমএস
Advertisement