দেশজুড়ে

দৃশ্যমান হচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

বাংলাদেশ ও চীনা প্রকৌশলীদের দিনরাত পরিশ্রমে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ করে সার্ভিস পাইলের কাজ শুরু করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শেষ হলে উপকূলীয় এলাকার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে বিদ্যুতের আলো। আর এ অঞ্চলে গড়ে উঠবে ভারি ও মাঝারি মানের শিল্প কারখানা, এমনটাই আশা স্থানীয়দের।জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে এক হাজার একর জমির উপর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে প্রথম ধাপের কাজ শেষ করে এখন চলছে দ্বিতীয় ধাপের কাজ। ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১.৫২ বিলিয়ন ডলার। ইপিসি নির্মাণে ব্যয় হবে ১.৬৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল প্রথম ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। আর একই বছর ৩১ অক্টোবর শেষ হবে ২য় ইউনিটের নির্মাণ কাজ।পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মাওলা বলেন, ‘প্রকল্পের সিডিউল অনুযায়ী কাজ এগিয়ে চলছে। বর্তমান সময় পর্যন্ত সিডিউল অনুযায়ী ৮ শতাংশ কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও বাস্তবে ৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এদিক থেকে আমরা এগিয়ে আছি।’দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটি মানসম্পন্নভাবে নির্ধারিত সময়ে তৈরি করতে নিয়মিত মনিটরিং করছেন সরকারের এমপি, মন্ত্রীসহ প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনে আসেন ‘বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণায়ল সম্পর্কিত সংসদের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম (এমপি) বলেন, ‘কাজের অগ্রগতি সন্তোসজনক বলে প্রতীয়মান হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নির্মাণের আগে যেসব ক্ষেত্রে উন্নয়ন হওয়া দরকার ছিল তা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে মধ্যে এই প্রকল্পটি শেষ হবে।’এদিকে কলাপাড়া উপজেলায় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরো দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজও শুরু হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।মহিব্বুল্লাহ চৌধুরী/বিএ

Advertisement