অর্থনীতি

ডিএনডির পানি নিষ্কাশনে ৫৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ

ঢাকা-নারায়নগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নে ৫৫৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারী এ তথ্য জানান।জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। উদ্যোগটি আবার পাঁচ বছর পরে নেয়ায় ‘ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি হচ্ছে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্পটি গত বছর ৯ আগস্ট একনেক বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, বঙ্গোপসাগরের ১৬ নং ব্লকে খনিজ অনুসন্ধান করবে বাপেক্স ও অস্ট্রেলিয়ার বহুজাতিক কোম্পানি সান্তোস। ব্লকের মগনামা রিং ফেন্সড এলাকায় এ অনুসন্ধান পরিচালিত হবে।এর আগে ১৬নং অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সান্তোস বাংলাদেশ লিমিটেড (এসবিএল) বাপেক্স বরাবর একটি প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব অনুযায়ী যৌথ বিনিয়োগে সম্মত হলে ৫০ ভাগ শেয়ারের ৪৯ ভাগ হস্তান্তর করতে ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠানটি। পরে বিস্তারিত আলোচনার পর সান্তোস সংশোধিত নতুন প্রস্তাব দাখিল করে। বাপেক্সের ৩৭২তম বোর্ড সভায় সান্তোসের এ সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদন পায়।জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, মগনামা অনুসন্ধান কূপ-২ খনন করতে ২৩০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হবে। জিডিএফ তহবিল থেকে এ ব্যয় নির্বাহ করা হবে।অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান উত্তোলিত তেল-গ্যাস প্রথমে পেট্রোবাংলার কাছে বিক্রির জন্য প্রস্তাব দেবে, পেট্রোবাংলা প্রত্যাখ্যান করলে দেশের মধ্যেই তৃতীয় পক্ষের কাছে তা বিক্রি করতে হবে। এছাড়া চট্রগ্রামের মিরসরাই বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) বন্যা নিয়ন্ত্রণ সড়ক কাম বেড়িবাধ প্রতিরক্ষা এবং নিষ্কাশন প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে কমিটি।এরপর অর্থনৈতিক ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৫০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১০৯ কোটি টাকা। এছাড়া ২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারি ডেন্ডারগুলোকে অনলাইনে করা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।এমইউএইচ/আরএস/আরআইপি

Advertisement